‘বোলারদের জন্য এটা কঠিন দিন ছিলো’

Mehidy Hasan Miraz
মেহেদী হাসান মিরাজ। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম ম্যাচে তিনশোর কাছাকাছি পুঁজি নিলেও অন্তত ২০ রান ঘাটতির আক্ষেপ ছিলো, দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ধসে যথেষ্ট পুঁজি আনা যায়নি। বোলারদের তাই একক দায় দেওয়া যাচ্ছিলো না। তৃতীয় ম্যাচে ৩২১ রান করেও লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার স্বাভাবিকভাবেই সমস্যাটা বোলিংয়ে দেখছেন মেহেদী হাসান মিয়াজ।

বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তৃতীয় ম্যাচে  ৪ উইকেটে হেরে হোয়াটওয়াশড হয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং পেয়ে চার ফিফটিতে ৩২১ রানের পুঁজি নিয়েও ২৫ বল আগে হারতে হয়েছে। অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুর সেঞ্চুরি, কেসি কার্টির ৯৫ আর শেষ দিকে গুডাকেশ মোটির ঝড়ে তাল হারিয়ে হতাশায় ডুবেন মিরাজরা।

সিরিজ হারানো পর হোয়াইটওয়াশও এড়াতে না পারায় চরম হতাশ ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক দায় দিলেন মাঝের ওভারের বোলিংকে,  'বোলারদের জন্য এটা কঠিন দিন ছিলো। আমাদের ব্যাটাররা ভালো করেছে, আমরা জুটি পেয়েছি। সৌম্য, জাকের, মাহমুদউল্লাহ সবাই ভালো করেছে।  আমরা বোলিংয়ে আরও ভালো করতে পারতাম, বিশেষ করে মাঝের ওভারে। এটাই আমাদের জন্য সমস্যা হয়েছে।'

বিশাল রান তাড়ায় থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১ রানে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ৮৬ রানে তাদের পড়ে ৪ উইকেট। এরপর ১৩২ রানের জুটি গড়েন কেসি কার্টি-আমির জঙ্গু। দুজনেই বদলে দেন ম্যাচের ছবি।

মাঝে ওভারে বাংলাদেশের বোলিং দেখা যায় বিবর্ণ। নাসুম আহমেদ রান দেন ওভার প্রতি আটের উপরে। রিশাদ হোসেন দেন সাতের কাছাকাছি।

মিরাজ জানান এই সিরিজে অনেকের সুযোগ ছিলো নিজেদের মেলে ধরার। যা শেষ পর্যন্ত হয়নি, 'আমরা কজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে পাইনি। আমি দায়িত্ব নিয়েছি, মাহমুদউল্লাহ ভাই ভালো করেছেন। তিনি তিনটা ফিফটি করেছেন এই সিরিজে। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো মুহূর্ত এনে দিয়েছিলো। তার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তরুণদের জন্য এই সিরিজ ছিলো নিজেদের দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ।'

ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের আর কোন ওয়ানডে নেই। তবে ঘাটতির জায়গাগুলো ধরে উন্নতির পথও খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মিরাজ,  'এই সিরিজের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। আমরা জানি কোথায় উন্নতি করতে হবে। আমরা বুঝতে পারছি এগুলে হলে কী করা লাগবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt to review media outlets owned by AL ministers, MPs: information adviser

The adviser made these remarks during a stakeholders' meeting of the Department of Films and Publications

9m ago