ইসলামাবাদের রেড জোন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা কর্মীরা
![বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রবার বুলেট ছুঁড়ছেন রেঞ্জাররা। ছবি: রয়টার্স](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/11/27/screenshot_2024-11-27_110318.jpg)
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে ছুটে এসেছিলেন অসংখ্য ভক্ত-সমর্থক ও তার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। তবে রাতভর অভিযান চালিয়ে ইসলামাবাদের রেড জোন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা।
আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
গত সপ্তাহান্ত থেকে শুরু করে দশ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী ইসলামাবাদে উপস্থিত হয়েছিল।
ইমরান খান দাবি করেন, তিনি যাতে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে না পারেন, সে জন্য ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে লড়তে দেওয়া হয়নি। তিনি তার সমর্থকদের এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান। সেই আহ্বান পরিণত হয় ইমরানকে মুক্ত করার বিক্ষোভে।
![জাহাজের কন্টেইনার দিয়ে তৈরি ব্যারিকেডে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/11/27/afp_20241126_36nc7a6_v3_highres_topshotpakistanpoliticsprotestkhan.jpg)
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের বাইরের চত্বরে অবস্থান নেয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দখল নেওয়া।
এই বিক্ষোভ দমনে সরকার ২০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করে। গত কয়েকদিন ধরেই বিচ্ছিন্নভাবে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।
গতকাল মধ্যরাত থেকে শুরু হয় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর কঠোর অভিযান। তারা টিয়ার গ্যাস শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল লাঠি ও গুলতি। তারা সড়কে স্থাপিত কনটেইনার দিয়ে তৈরি রোডব্লকে অগ্নিসংযোগ করেন।
তবে আজ বুধবার ভোরে এএফপির কর্মীরা লক্ষ্য করেন, ইসলামাবাদের কেন্দ্রে সরকারি কার্যালয় অভিমুখী (রেড জোন নামে পরিচিত) সড়ক থেকে বিক্ষোভকারীদের সরানো হয়েছে।
![সংঘর্ষের সময় ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির গাড়িবহরের এই ট্রাকে আগুন ধরে যায়। ছবি: এএফপি](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/11/27/bushra.jpg)
এর আগে জানা গেছে, রাতের অভিযানে শতাধিক ইমরান সমর্থক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পাশাপাশি, দাঙ্গা পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীদের সেখান থেকে বাসে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও তারা দাবি করেছেন।
Comments