ইসলামাবাদে ইমরান সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, উত্তেজনা বাড়ছে

পিটিআই, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, ফয়সালাবাদ,
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ২৬ নভেম্বর, ২০২৪। ছবি: এএফপি

ইসলামাবাদের জিরো পয়েন্ট ব্রিজে পৌঁছেছে পিটিআই সমর্থকদের গাড়িবহর। সেখানে পিটিআই সমর্থক ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জিও নিউজ বলছে, বিক্ষোভাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে। অন্যদিকে পিটিআই কর্মীরা পাথর ছুড়ে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

এদিকে ফয়সালাবাদ থেকে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিগামী গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোটরওয়েজ এম-৩ ও এম-৪ এর বিভিন্ন পয়েন্টে কনটেইনার বসানো হয়েছে। এতে এই মহাসড়কগুলোতে প্রবেশের সুযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ফয়সালাবাদ থেকে শেইখুপুরা ও লাহোর সড়কের একাধিক স্থানে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রাওয়ালপিন্ডির হাকলা ইন্টারচেঞ্জের কাছে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর, সালার খান কাকার, শাহিদ খাট্টাকসহ অন্যদের নাম উল্লেখ করে তক্ষশীলা থানায় মামলাটি করা হয়।

মামলার এফআইআরে বলা হয়েছে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট বন্দুক এবং অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে এবং পুলিশ অফিসার ও নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর লাঠি ও পাথর দিয়ে আক্রমণ চালায়।

এতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, এই হামলা পিটিআইয়ের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল।

এজাহারে বলা হয়, তারা কনস্টেবল মুবাশ্বের হাসানকে আহত করে এবং একটি লাল ভ্যানে করে নিয়ে যায়। তারপর পালানোর আগে তাকে হাকলা ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে কনস্টেবল মুবাশ্বের হাসানকে হাসপাতালেন নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।

Comments

The Daily Star  | English
price hike of essential commodities in Bangladesh

Essential commodities: Price spiral hits fixed-income families hard

Supply chain experts and consumer rights activists blame the absence of consistent market monitoring, dwindling supply of winter vegetables, and the end of VAT exemptions granted during Ramadan.

13h ago