৫ বছর পর শি-মোদি বৈঠক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা

শি জিন পিং ও নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
শি জিন পিং ও নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন।

আজ বুধবার ভারতের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

গতকাল মঙ্গলবার চীন ও সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে বিরোধের অবসান হয়েছে। বিশ্লেষকরা ভাবছেন, এই সমঝোতা এবং দুই নেতার বৈঠকে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

তিন দিনব্যাপী ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রুশ শহর কাজানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে এই সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বিক্রম মিসরি গতকাল দিনের শেষে জানান, 'প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন।'

সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে দুই নেতা মুখোমুখি হয়েছিলেন। সে সময় শি ভারতের মহাবলিপুরম শহর সফর করেন।

২০১৮ সালে চীন সফরে যেয়ে উহানে নৌকা ভ্রমণ করেন মোদি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
২০১৮ সালে চীন সফরে যেয়ে উহানে নৌকা ভ্রমণ করেন মোদি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

কয়েক মাস পরেই, ২০২০ সালে হিমালয়ের বিরোধিতাপূর্ণ অঞ্চল লাদাখে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত দেখা দেয়। এতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা ও চার চীনা সেনা নিহত হন।

এরপর থেকে দুই নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি।

অনানুষ্ঠানিক সীমান্ত বা 'প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা' (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) ঘিরে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল বৈরিতা।

এই সংঘাতের পর উভয় পক্ষ নিজ নিজ সীমান্ত থেকে হাজারো সেনা সরিয়ে নেয় এবং এলএসির কাছে কোন সেনা টহল না করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে সোমবার ভারত জানায়, সেনা টহল নিয়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। মঙ্গলবার এতে সায় দেয় চীন।

শি জিন পিং ও নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
শি জিন পিং ও নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্ত সংঘাত নিরসনের পর চীন ভারতের বাজারে আরও বড় আকারে প্রবেশের চেষ্টা চালাবে এবং সার্বিকভাবে, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

গত চার বছর ভারতে বিনিয়োগ করতে ও ব্যবসার সম্প্রসারণ করতে নানা বাঁধার মুখে পড়েছে চীন। এমন কী, দেশটিতে চীনা মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম টিকটকও নিষিদ্ধ করা হয়।

তবে এবার বেইজিং-নয়াদিল্লি সম্পর্কের বরফ গলতে যাচ্ছে। এমনটাই মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Tax-free income limit may rise to Tk 3.75 lakh

The government is planning a series of measures in the upcoming national budget to alleviate the tax pressure on individuals and businesses, including raising the tax-free income threshold and relaxing certain compliance requirements.

13h ago