চীন-যুক্তরাষ্ট্র শুল্কযুদ্ধ

বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে যাচ্ছেন শি জিনপিং

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু করা বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগ দিয়েছে বেইজিং। এর অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া সফর করবেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ খবর জানায়। 

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার জানানো হয়, সোমবার ভিয়েতনাম দিয়ে এই সফর শুরু করবেন শি জিনপিং। এরপর মঙ্গল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়ায় অবস্থান করবেন।

২০২৫ সালে শি জিনপিংয়ের প্রথম বিদেশ সফর হতে যাচ্ছে এটি। 

ট্রাম্পের রেসিপ্রোকাল শুল্কের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে চীন। কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সব দেশ ট্রাম্পশুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সবাই যুক্তরাষ্ট্রকে 'খোলামেলা ও গঠনমূলক' আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। 

ভিয়েতনাম ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি পণ্যের ওপর সব শুল্ক তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া বাণিজ্য আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলের বাণিজ্যের ব্যাপারে কতটা আন্তরিক—তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।

মর্নিং পোস্ট জানায়, জিনপিং তার সফরে চীনকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে উপস্থাপন করবেন। 

এ সপ্তাহের শুরুতে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত বন্ধন জোরদার করার ঘোষণা দেন জিনপিং।

এরপর বুধবার মালয়েশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী তেংকু জাফরুল আব্দুল আজিজের সঙ্গে ভিডিও কলে বৈঠক করেন চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও। মালয়েশিয়া বর্তমানে আসিয়ানের সভাপতিত্ব করছে।

বৈঠকে আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ওয়াং।

মালয়েশিয়া ছাড়াও ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকার বাণিজ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কলে বৈঠক করেছেন ওয়াং। 

বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের হার বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করে, যা পরবর্তীতে ১৪৫ শতাংশে পৌঁছায়। চীনও পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'শেষ পর্যন্ত' লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

13h ago