পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পরিচালনায় ছাত্র সমন্বয়কসহ স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি

পল্লীবিদ্যুৎ
ছবি: সংগৃহীত

সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) পরিচালনার জন্য ছাত্র সমন্বয়কসহ একটি স্বাধীন কমিশনের দাবি জানিয়েছেন সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আজ শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ দাবি জানান।

তারা পবিস এবং সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) একীভূতকরণের দাবিও জানিয়েছেন।

আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পবিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এক সংবাদ সম্মেলনে এই দুটিসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেন।

অন্য দুটি দাবি হলো- অবিলম্বে গ্রেপ্তার কর্মকর্তাদের মুক্তি দিয়ে তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা।

তাদের হিসাব অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে মোট ২৪ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

১৭ অক্টোবর কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও বরখাস্তের প্রতিবাদে সমিতি কয়েক ঘণ্টা বেশিরভাগ স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখে। যার ফলে হাজারো গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হন।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় ঢাকা-১ পবিসের জুনিয়র প্রকৌশলী তানজিদুল ইসলাম বলেন, 'আমরা (বিদ্যুৎ বন্ধের) জন্য দুঃখিত, যেটি আসলে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্মকর্তাদের বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল।'

তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত, পবিসে আর্থিক শোষণ বন্ধ, বোর্ডের হয়রানি বন্ধ এবং তাদের ব্যর্থতার দায়ভার পবিস এবং অন্যান্যদের ওপর চাপিয়ে নেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধের দাবিতে তারা এই বছরের জানুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন।

ওই সময় বোর্ড দুই সহকারী মহাব্যবস্থাপককে সাময়িক বরখাস্ত করে এবং কয়েকজনকে ছেড়ে দেয়।

'আমরা একটি চলমান প্রতিবাদে ছিলাম। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত না করে দুই দফায় কমপক্ষে ১৫ দিন ধরে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আগে কোনো নোটিশ দেওয়া ছাড়াই আমাদের ২৪ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হলো', তিনি যোগ করেন।

তিনি বলেন, 'কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারণ তারা বোর্ডের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। তারা পদ্ধতিগত সংস্কার এবং শহর ও গ্রামীণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে বৈষম্য কমানোর দাবি জানিয়েছিলেন।'

সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন চট্টগ্রাম পবিস-১ এর এজিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন, নরসিংদী পবিস-১ এর ডিজিএম আব্দুল্লাহ আল হাদী, নরসিংদী-২ এর জুনিয়র প্রকৌশলী মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands. 

2h ago