চট্টগ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি। ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মতো চট্টগ্রাম জেলার তিনটি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও টানা দশম দিনের মতো বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন।

বুধবার পালিত এই কর্মবিরতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম ছাড়া অন্য সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন ও নিম্নমানের সরঞ্জামের কারণে গ্রাহক ভোগান্তি দূর করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানান পবিসের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম পবিস-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ইব্রাহিম বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে সীমিত সংখ্যক জনবল রেখে সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

'গত মে মাসে আমরা একই দাবিতে সারাদেশের ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করি। ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে আমরা আন্দোলন স্থগিত করি। কিন্তু সে আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় ১ জুলাই থেকে আবারও আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হই। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি না মানা হবে, ততদিন এ আন্দোলন চলবে।'

গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় চার কোটি গ্রাহক এবং ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিয়ত নানান বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

আন্দোলনের আহ্বায়ক সহকারী মহাব্যবস্থাপক রাজন কুমার দাসের সই করা বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, 'বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোকে একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিতকরণ এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক মানহীন বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয়ের কারণে গ্রাহক ভোগান্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।'

এতে আরও বলা হয়, 'এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো ধরনের প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সম্প্রতি এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়ায় পবিসের ছয়জন সহকারী মহাব্যবস্থাপককে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ আইনের দোহাই দিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।'

বৈষম্যগুলো দূর করার জন্য বেতন কাঠামো ও সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির সঙ্গে সমানভাবে পরিপালন, সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দুইদিন এবং পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বিআরইবির সঙ্গে সমন্বয় করার দাবি জানানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance crosses $30 billion for first time

Inward remittance rises 26.5% in Jul–Jun period

1h ago