কুতুবদিয়া বহির্নোঙ্গরে এলপিজি ট্যাংকারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে আসেনি এখনো

একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায়, ট্যাংকারটির কেবল পেছনের অংশে এখনো আগুন জ্বলছে। তবে, মাঝের ও সামনের অংশের আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

কুতুবদিয়া বহির্নোঙ্গরে আজ রোববার ভোররাতে একটি এলপিজি ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গ্যাসভর্তি থাকায় ট্যাংকারের আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ইস্ট জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন জহিরুল হক জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বি-এলপিজি সোফিয়া ট্যাংকারে আগুন লেগেছে। এই ট্যাংকার মাদার ভেসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাস থেকে এলপিজি পরিবহন করছিল।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, তাদের তিনটি অগ্নিনির্বাপক টাগবোট কাণ্ডারি ৩, ৪ ও ১০ আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে।

গ্যাসভর্তি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'মাদার ভেসেলের আগুন ভোররাত ৩টার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ট্যাংকারের আগুনও প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, তবে এখনো পুরোপুরি নির্বাপণ সম্ভব হয়নি।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরের মেরিন বিভাগের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বি-এলপিজি সোফিয়ার শুধু পেছনের দিকে একটি অংশে আগুন জ্বলছে। বাকিটা নেভানো সম্ভব হয়েছে। ট্যাংকারটির পেছনের একটি অংশে কার্গোহোল্ডে পর্যাপ্ত গ্যাস রয়ে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। আগুন নিভে যাওয়ার পর আবারও জ্বলে উঠছে। ফলে, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।'

ট্যাংকারের ১৮ জন ক্রু, দুজন মুরিং ম্যান, তিনজন প্রহরী এবং মাদার ভেসেল থেকে সাগরে ঝাঁপ দেওয়া আটজন বন্দর নিরাপত্তারক্ষীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ক্যাপ্টেন জহিরুল।

ক্রুদের মধ্যে নয়জন বাংলাদেশি, আটজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন ভারতীয়।

মাদার ভেসেল থেকে বি-এলপিজি সোফিয়ায় এলপিজি নেওয়ার সময় বসুন্ধরা গ্রুপেরই আরেকটি টাগবোট কাছাকাছি অবস্থানে ছিল। দুর্ঘটনার খবরে এই টাগবোটটিই প্রথম এগিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং ৩১ জনকে উদ্ধার করে।

টাগবোটের মাস্টার মো. নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা হাফ নটিক্যাল মাইলের মধ্যেই ছিলাম। খবর পেয়েই দ্রুত সেখানে পৌঁছে দেখতে পাই দুটি জাহাজেই আগুন ধরেছে। আমার ধারণা মাদার ভেসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাসের ক্রুরাই সেখানে লাগা আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন।'

ক্যাপ্টেন জহিরুল জানান, কোস্টগার্ড রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অগ্নিনির্বাপক টাগবোট প্রমত্ত, একটি টহল বোট ও আটটি স্পিড বোট নিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। নৌবাহিনীও অগ্নিনির্বাপক টাগবোট পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, 'ট্যাংকারের সঙ্গে বাঁধা দড়িটি ছিঁড়ে যাওয়ায় মাদার ভেসেল নিরাপদ আছে।'

আগুন লাগার আগে মাদার ভেসেল থেকে এলপিজি নেওয়া হচ্ছিল বি-এলপিজি সোফিয়ায়। এরই মধ্যে আগুন লেগে গেলে মাদার ভেসেলের সঙ্গে বি-এলপিজি সোফিয়াকে বেধে রাখা দড়িটি ছিঁড়ে যায় এবং ট্যাংকারটি উন্মুক্ত অবস্থায় ভাসতে ভাসতে বেশ দূরে চলে যায়। আশেপাশে আরও অনেক জাহাজ থাকায় এটি বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago