২০ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি এলপিজি ট্যাংকারের আগুন, নেওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে
কুতুবদিয়া বহির্নোঙ্গরে এলপিজি ট্যাংকারে লাগা আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি।
জাহাজটিকে আরেকটি টাগবোট দিয়ে টেনে কুতুবদিয়া বহির্নোঙ্গর থেকে ১২ কিলোমিটার গভীর সাগরে নিরাপদ স্থানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আজ রোববার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মেরিন বিভাগের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল রাতে একটি মাদার ভেসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাস থেকে এলপিজি নেওয়ার সময় বি-এলপিজি সোফিয়ায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে।
আজ সন্ধ্যায় জানতে চাইলে বন্দরের ওই কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্দরের টাগবোট কান্ডারি-৪ বি-এলপিজি সোফিয়াকে কুতুবদিয়া তীর থেকে গভীর সাগরের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কান্ডারি-৩ আগুন নেভাতে পাশেই আছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এলপিজি ট্যাংকারের সামনের ও পেছনের অংশের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নেভেনি। আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে না, তবে ঘন ধোঁয়া এখনো আছে।'
'আগুন নেভানোর জন্য আমরা জাহাজটিকে পুরোপুরি ঠান্ডা করার চেষ্টা করছি এবং ক্রুদের ভেতরে পাঠানোর আগে বিশেষজ্ঞদের পাঠানোর চেষ্টা করছি,' বলেন ওই কর্মকর্তা।
তার ধারণা, ট্যাংকারের সব গ্যাস পুড়ে গেলে আগুন নিজে নিজেই নিভে যাবে।
রাতে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বি-এলপিজি সোফিয়া ট্যাংকারটি মাদার ভেসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাস থেকে এলপিজি নেওয়ার সময় দুই জাহাজেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মাদার ভেসেলের সঙ্গে বি-এলপিজি সোফিয়াকে বেঁধে রাখা দড়িটি ছিঁড়ে যায় এবং ট্যাংকারটি উন্মুক্ত অবস্থায় ভাসতে ভাসতে বেশ দূরে চলে যায়।
মাদার ভেসেলের আগুন ভোর ৩টার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে কোন জাহাজে প্রথম আগুন লেগেছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আজ সারাদিন কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বন্দর কর্তৃপক্ষ সোফিয়ার আগুন নির্বাপণে কাজ করে।
ঘটনা তদন্তে নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বন্দরের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম ফজলার রহমানকে।
এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিজিএফআই, এনএসআই, নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন।
Comments