ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের বাড়তি দাম নিয়ে তদন্তের নির্দেশ

ইসলামী ব্যাংক

পুঁজিবাজারে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক ওঠানামার কারণ খুঁজতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুই দিন পর গত ৭ আগস্ট থেকে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির শেয়ারের দাম 'আকাশচুম্বী' হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ নির্দেশনা দেওয়া হলো।

চট্টগ্রামভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের প্রথম শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের শেয়ারের দাম গত ৬ আগস্ট ছিল ৩২ টাকা ৬০ পয়সা। গতকাল তা বেড়ে হয় ৭০ টাকা চার পয়সা।

আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ সরকার পতনের পর পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিএসইসি বলছে, সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের সংখ্যা ও দাম উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে। এটি 'অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক' বলে মনে হচ্ছে।

একইভাবে ৬ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কেনাবেচার ঘটনা তদন্ত করে বাজারে কারসাজি, ইনসাইডার ট্রেডিং নাকি অন্য কোনো অপব্যবহার হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সার্ভিল্যান্স বিভাগে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।

শীর্ষ স্টক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুনর্গঠিত ইসলামী ব্যাংক শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন। অন্যদিকে, তারা মনে করছেন ইতোমধ্যে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া কিছু স্পনসর শেয়ারহোল্ডার তাদের অবস্থান শক্ত করার জন্য হয়ত আবার শেয়ার কেনার চেষ্টা করছেন।'

তার মতে, 'এই আশায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনে থাকতে পারেন। শেয়ারের দাম ওঠানামা দ্রুত হওয়ায় সিকিউরিটিজের নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা দেখতে বিএসইসি তদন্ত করছে।'

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নিয়ম মেনে ব্যবসা করলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও মনে করেন তিনি।

বিএসইসির মধ্যম পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিয়ন্ত্রক সংস্থা তখনই তদন্তের উদ্যোগ নেয় যখন বুঝতে পারে যে 'অস্বাভাবিক' কিছু হচ্ছে।

নিয়ম লঙ্ঘন না হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা এনফোর্সমেন্ট বিভাগে পাঠাবে না বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

14h ago