মোসাদের সদরদপ্তরে হিজবুল্লাহর ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলি পতাকা ও মোসাদের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি পতাকা ও মোসাদের লোগো। ছবি: সংগৃহীত

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা তেল আবিবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদরদপ্তর লক্ষ্য করে ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

সংগঠনটি আরও জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে লেবানন ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলাগুলোর মূল পরিকল্পনা মোসাদের সদরদপ্তর থেকেই এসেছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া গাজার যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলি সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালিয়ে এসেছে হিজবুল্লাহ। সংগঠনটির দাবি, তারা হামাসের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এসব হামলা চালাচ্ছে।

তবে এবারই প্রথম হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি জানিয়েছে।

এর আগে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছিল তারা লেবানন থেকে আসা একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় তেল হাবিবে আকাশ হামলার সতর্কতাসূচক সাইরেন বেজে ওঠে।

হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আমরা আজ বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয় টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টা) তেল আবিবের শহরতলীতে অবস্থিত মোসাদের সদরদপ্তর লক্ষ্য করে একটি 'কাদের ১' ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছি।'

ইরানে নির্মিত কাদের ১ ক্ষেপণাস্ত্র। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
ইরানে নির্মিত কাদের ১ ক্ষেপণাস্ত্র। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

'আমাদের নেতাদের হত্যাকাণ্ড এবং পেজার ও অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইসের বিস্ফোরণের জন্য এই সদরদপ্তরটিই দায়ী', যোগ করে হিজবুল্লাহ।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ কমান্ডার সহ অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন।

সংগঠনটি আরও জানায়, গাজার মানুষের প্রতি সমর্থন ও 'লেবানন ও লেবাননের জনগণের সুরক্ষায়' এই হামলা চালানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে গাজার পরিবর্তে ইসরায়েলের প্রাণঘাতি হামলার মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে লেবানন।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার থেকে শুরু করে দেশটিতে অন্তত ৫৫৮ জন নিহত হয়েছেন। ১৯৭৫ থেকা ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের পর এটাই সবচেয়ে বড় আকারে সহিংসতার ঘটনা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

33m ago