ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু, আহত ৭

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় তিনজন এবং পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় একজন মারা গেছেন।
বজ্রপাতের ফাইল ছবি।

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এবং পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও সাতজন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে দুইজন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর কালী বাড়ী গ্রামে একজন এবং আটোয়ারী উপজেলার ঝাঁকুয়াপাড়া গ্রামে একজনের মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলার লাউতুথি গ্রামের বাসিন্দা দুলাল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৫) ও নজরুল ইসলামের ছেলে মনির ইসলাম (১৪), বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর কালী বাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান (২৩) এবং আটোয়ারী উপজেলার ঝাঁকুয়াপাড়া গ্রামের দীনেশ চন্দ্র বর্মণ পক্ষেল (২৭) ।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহেদ বলেন, 'গোপালপুর গ্রামের ভুলি নদীতে পাঁচ কিশোর গোসল করছিল। সে সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই আরিফুল ও মনিরের মৃত্যু হয়। আহত হয় ফারুক (১৫) ও ফরিদ (১৫)। একই সময় ওই গ্রামের ফজিলা বেগমও (৩৮) বজ্রপাতে আহত হন।'

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, 'আতাউর ও আরও কয়েকজন বাড়ির উঠানে বসে ছিলেন। বজ্রপাত হলে আতাউর (৭), রানা (১৩), সাকিবুল (১০) ও ফয়সাল (৮) আহত হয়। তাদের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে আতাউরের মৃত্যু হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'বিকেলে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় উপজেলার উদয়পুর গ্রামের মঞ্জুয়ারা (৪৫) বজ্রপাতে আহত হন। আহতদের সবাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।'

এদিকে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় গবাদি পশুর জন্য ঘাস কেটে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে দীনেশ চন্দ্র বর্মণ  পক্ষেল (২৭) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

এদিন বিকেলে উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের ঝাঁকুয়াপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দীনেশের বাবার নাম ধীরেন চন্দ্র বর্মণ।

আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাক্কারুল আলম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'বিকেলে দীনেশ ঘাস নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পেছনে ছিলেন তার মা। হঠাৎ বজ্রপাত হলে দীনেশ ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন। দীনেশের মা ও অন্যান্যরা আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'

Comments

The Daily Star  | English

S Alam’s tax file shows no foreign income

S Alam Group owner Mohammed Saiful Alam’s 2022-2023 tax file is a puzzle. In that tax year, he declared personal assets worth Tk 2,532 crore, but did not show any personal bank loans from Bangladesh or his foreign income.

2h ago