অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক ৭ কর্মকর্তাসহ ১০ জনের কারাদণ্ড

চার কোটি পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক সাত কর্মকর্তাসহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

তাদের মধ্যে ছয়জনকে ১৭ বছর করে এবং চারজনের স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তাদের সবাইকে মোট চার কোটি ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।

রায়ে ১৭ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সাবেক মহাব্যবস্থাপক ননী গোপাল নাথ, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান, প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজা, অন্যতম পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন ও মণ্ডল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মুকুল হোসেন।

রায়ে সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনুল হক, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর মহিদুর রহমান, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিএম) সফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক কামরুল হোসেন খানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আসামি মইনুল, মীর মহিদুর, সফিজ উদ্দিন ও কামরুলের উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। অন্যরা অনুপস্থিত ছিলেন।

এর আগে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলার বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ৪২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

বিচারক তার রায়ে বলেন, পলাতকদের শাস্তি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন হোটেল শেরাটন শাখার ৪ কোটি ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রমনা থানায় হুমায়ুন কবিরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মুজিবুর রহমান।

২০১৪ সালের ২২ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আট আসামিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৫ সালের ১৮ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

এর আগে দুর্নীতির অপর তিনটি মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৩০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

11h ago