বন্যার্তদের জন্য পুরস্কারের অর্থ দান করলেন লিটনও 

Litton Das

রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায়ও আক্রান্ত বাংলাদেশ। দেশের খারাপ সময়ে একমাত্র সুখবর দিয়েছে ক্রিকেট দল। টেস্টে হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে। তবে জিতেও দেশের এই অবস্থায় পুরোপুরি উপভোগ করতে পারছেন না বলে জানালেন লিটন দাস। তার মন কাঁদছে বিপদগ্রস্ত আক্রান্ত মানুষের জন্য। এই টেস্টে ব্যাটিং ও কিপিংয়ে দারুণ অবদান রাখায় এনার্জেটিক প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন তিনি। আর এই পুরস্কারের অর্থও বন্যার্তদের জন্য দান করেছেন লিটন।

রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। এই ম্যাচ জয়ে পার্শ্বনায়কের  ভূমিকায় অবদান আছে লিটনের। 

ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৫৬ রান করেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে কিপিং গ্লাভসে ৬টি ডিসমিসালও করেন তিনি। এরমধ্যে প্রথম ইনিংসে শরিফুল ইসলামের বলে বাবর আজমের চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নেন। দুই ইনিংসের তার দুটি স্টাম্পিং ছিলো দারুণ। 

প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানে দলের ৫ উইকেট পড়লে খেলতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন ১১৪ রানের জুটি। তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে নাসিম শাহর এক ওভারে ১৮ রান তুলে স্পর্শ করেন ফিফটি, ছক্কায় হারিয়ে দেন বলও। পরের দিন নেমে ইনিংস যদিও বড় করতে পারেননি। তবে সব মিলিয়ে তার সামগ্রিক উপস্থিতি ও অবদান ছিলো চাঙ্গা করার মতন। সেই হিসেবেই তাকে এনার্জেটিক প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার হিসেবে পাকিস্তানি এক লাখ রুপি তুলে দেওয়া হয়। এই অর্থই তিনি দান করলেন বন্যায় আক্রান্ত মানুষকে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়ে সবাইকে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান জানান লিটন,  'পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্ট ম্যাচে হারিয়েছি, সেখানে অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে এই জয়টাও ঠিকমত উপভোগ করতে পারছি না, মনটা পড়ে আছে দেশে। আমি এই ম্যাচে এনার্জেটিক প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ পুরষ্কার হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ বন্যার্তদের জন্য দেবার ঘোষণা দিচ্ছি। যারা দেশে আছেন, তাঁরা সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসুন। যত বিপদ, তত ঐক্য। বাংলাদেশ হারবে না।' 

ঐতিহাসিক এই টেস্ট জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মুশফিকুর রহিমের। ১৯১ রান করে তিনি হন ম্যাচ সেরা। তিনি তার পুরস্কারের অর্থ বন্যা আক্রান্তদের সাহায্যে দান করেছেন।  

 

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh retain its foothold in US market?

As Bangladesh races against a July 9 deadline to secure a lower tariff regime with the United States, the stakes could not be higher.

12h ago