‘প্রতিটা খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে’, প্রধান উপদেষ্টাকে জানাবেন শান্ত

Shakib Al Hasan
ছবি: পিসিবি

কদিন আগেও আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের পর প্রেক্ষাপট এখন তার জন্য তিক্ত সময়। দেশের বাইরে থাকা শীর্ষ ক্রিকেটারকে একটি হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও উঠেছিলো। 

সাকিবকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা অভিযোগে আসামী করা হয়েছে বলে প্রতিবাদ জানান জাতীয় দলের তার সতীর্থরা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা হলেও খেলোয়াড়রা যে সাকিবের পাশে- এই কথা জানাবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের সময় সাকিবকে একটি মামলায় হত্যা আসামী করা হয়। আরেক আইনজীবী সাকিবকে  খেলা থেকে সরিয়ে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে বিসিবিকে আইনি নোটিস দিয়েছিলেন। তবে বিসিবি অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত সাকিবের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়।

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে হারানোর পর বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার সাকিবের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ করেন। সেই টেস্টে বল হাতে দলের জয়ে অবদান রেখেছিলেন সাকিব। দ্বিতীয় টেস্টেও পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। বুধবার রাতে দুই দফায় পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরেন ক্রিকেটাররা।

সিরিজ জেতার পর বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা জানানো হয় প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে। বুধবার রাতে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে শান্ত জানান, দেখা হলে আর সুযোগ হলে সাকিবের পাশে থাকার কথা বলবেন তারা, 'সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারটি, এটি ভিন্ন একটি ব্যাপার। তবে প্রত্যেক খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে। এটা আমরা সবাই জানি যে, সাকিব ভাই খেলার জন্য কতটা নিবেদিত এবং খেলার জন্য কতটা পাগল। সবসময় দলের জন্য চিন্তাভাবনা করে থাকেন। যখন দেখা হবে (প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে), এটা নিয়ে যদি কথা ওঠে… প্রতিটি খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে।'

বাংলাদেশ দলের বাকি ক্রিকেটাররা দেশে ফিরলেও কাউন্টি দল সারের হয়ে খেলতে সাকিব গেছেন ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ড থেকেই তিনি ভারতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

51m ago