টেস্ট আর ওয়ানডেতেও দীর্ঘমেয়াদী অধিনায়ক ঘোষণা করবে বিসিবি

ছবি: এএফপি

লিটন দাসকে আগামী ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই সংস্করণে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছে বিসিবি। তবে অন্য দুই সংস্করণে— টেস্ট ও ওয়ানডেতে আপাতত কোনো অধিনায়ক নেই টাইগারদের। সেগুলোর জন্য শিগগিরই দীর্ঘমেয়াদী অধিনায়কের ঘোষণা দেওয়া হবে, জানালেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ২০২৪ সালের জন্য তিন সংস্করণে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত সবশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনিই ছিলেন দলনেতা। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজেও নেতৃত্ব দেন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার। সিরিজ শুরুর আগে তিনি বলেছিলেন, আপাতত শুধু এই সংস্করণের জন্য তাকে অধিনায়ক করা হয়েছে।

এই বছরের শুরুর দিকেই অবশ্য বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চান শান্ত। কারণ বিবর্ণ পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ছিলেন তিনি। অবশেষে চার মাসের ব্যবধানে রোববার লিটনকে নতুন অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে বোর্ড। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনু্ষ্ঠেয় বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডানহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে।

লিটনের নেতৃত্ব পাওয়ার দিনে আসন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান ফাহিম বলেন, টেস্ট ও ওয়ানডেতে লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়ক চান তারা এবং সেই ঘোষণা দ্রুতই আসবে, 'ওয়ানডে আর টেস্টেও আমরা দীর্ঘমেয়াদী অধিনায়কত্বে যাব। এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। খুব দ্রুতই ৫০ ওভার ও টেস্ট অধিনায়কের ঘোষণা দিব। কারণ এটা খুব জরুরি, শূন্যস্থানটা যেন না থাকে।'

কেন দীর্ঘমেয়াদী অধিনায়ক দরকার, সেটার ব্যাখ্যাও দেন তিনি, 'আমরা হয়তো আরও দুই-আড়াই মাস পর টেস্ট খেলব (আসলে আগামী জুন মাসে)। এমনিতে সিরিজের এক সপ্তাহ আগে হয়তো জানানো হয়। কিন্তু অধিনায়কের যে দায়িত্ব থাকে দল তৈরি করা, সেটা শুধু ম্যাচের সময় নয়, পুরোটা সময়ই থাকে। তাই আমরা যত বেশি সময় দিব, অধিনায়কের জন্য ভালো হবে। তাই খুব শিগগিরই বোর্ড থেকে সিদ্ধান্ত আসবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago