রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট

ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশের স্রেফ ৩০ রানের লক্ষ্য

Bangladesh Cricket Team

২০০৩ সালে মুলতানে পাকিস্তানকে হারানোর একদম কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয়েছিলো বাংলাদেশ। ২১ বছর পর এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস ধসিয়ে মামুলি লক্ষ্য পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থেমে গেছে স্রেফ ১৪৬  রানে। অর্থাৎ এই টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের করতে হবে কেবল ৩০  রান।

লাঞ্চের আগেই পাকিস্তানের ৬ উইকেট ফেলে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদরা। লাঞ্চের পরও নিজেদের ধার বজায় রাখেন তারা।  লাঞ্চের সেরে ফিরেই হানা দেন মিরাজ। তার আচমকা নিচু হওয়া বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন শাহিন আফ্রিদি। ১১১ রানে ৭ম উইকেট হারায় পাকিস্তান।

সাকিব ৮ম উইকেট ফেলতে দেরি করেননি। বাংলাদেশের শীর্ষ তারকার বলে নাসিম শাহ শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। তখন পাকিস্তানের লিড স্রেফ ১ রানের।

তবে রিজওয়ান হয়ে দাঁড়ান বাধা। খুররম শাহজাদকে এক প্রান্তে রেখে বাড়াতে থাকেন রান। আগের ইনিংসে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা কিপার ব্যাটার এবারও তুলে ফেলেন ফিফটি। তার ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে অসম্ভব এক আশায় ছিল পাকিস্তান। তবে রিজওয়ান বাংলাদেশের অপেক্ষা বেশি বাড়াতে পারেননি। ফিফটির পরই মিরাজের বোল্ড হয়ে যান তিনি। মোহাম্মদ আলিকে ফিরিয়ে ইনিংসও মুড়ে দেন তিনি।

দিনের শুরুতে পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে কট বিহাইন্ড করেন হাসান। তার বলে আউটসাইড এজড হলেও জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিপার লিটন দাস নিশ্চিত থাকায় রিভিউ নেয় সফরকারীরা, সফলতাও আসে তাতে। বাবর আজমকে প্রথম বলেই আউট করার সুযোগ ছিলো। শরিফুল ইসলামের বলে তিনি ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে। লিটন ডান দিকে ঝাঁপিয়েও সেটা ধরতে পারেননি।

জীবন পেয়ে ২২ রান যোগ করেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক। পরে নাহিদ রানার বলে প্লেইড অন হয়ে ফেরেন তিনি। অভিজ্ঞ সাকিব বল করতে এসে সাফল্য আনতে দেরি করেননি। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান সাউদ শাকিলকে কাবু করেন তিনি। ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যাওয়া শাকিল সাকিবের বলে পরাস্ত হন, দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল ধরেই স্টাম্প ভেঙে দেন লিটন।  আব্দুল্লাহ শফিক থিতু হয়ে গিয়েছিলেন, পাকিস্তানকে টেনে নিচ্ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞ সাকিব থামান তাকে। সাকিবের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৭ করা শফিক।

খানিক পর আগা সালমানকে স্লিপে সাদমানের দারুণ ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লিড নেওয়ার আগেই ১০৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।

সেই প্রবল ধাক্কা খেয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। লাঞ্চের পর বাকি ৪ উইকেট তুলে নিতে আরও এক ঘণ্টার কিছু বেশি খেলতে হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

9h ago