ভেঙে দেওয়া হলো চাঁদপুরে সেতুর টোল ঘর

চাঁদপুর সেতু থেকে ২০ বছর টোল আদায় করেছে সড়ক বিভাগ। এই সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। টোল আদায় বন্ধে তাই টোল ঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীর ওপর সেতু থেকে টোল আদায় করার জন্য তৈরি ঘরটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি: স্টার

চাঁদপুর সেতু থেকে ২০ বছর টোল আদায় করেছে সড়ক বিভাগ। এই সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। টোল আদায় বন্ধে তাই টোল ঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন ডাকাতিয়া নদীর ধারে টোল ঘরটিতে আগুন দিয়েছিল একদল লোক। টোল আদায়ের জন্য সেখানেই নতুন একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরেও বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে টোল ঘরটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলাম। এর আগে বেশ কয়েকবার সাধারণ জনগণ এবং চালকরা টোল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। কিন্তু টনক নড়েনি।

ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর টোল আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর আবার টোল আদায়ের প্রস্তুতি নেয় ইজারাদার। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা টোল ঘরে হামলা চালান।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, চাঁদপুর সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। সেতু নির্মাণ খরচের কয়েকগুণ টাকা উঠলেও টোল বন্ধ হচ্ছে না। আবার যদি টোল আদায় হয় তাহলে আরও কঠোর আন্দোলন হবে।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহরুফ হোসেন বলেন, ডাকাতিয়া নদীর ওপর জেলায় যে কয়টি সেতু আছে সবগুলোই ২০০ মিটারের মধ্যে। একমাত্র এই সেতুটি ২৪৮ মিটার দীর্ঘ। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সেতুর টোল আদায় বন্ধ হয়নি। চলতি অর্থ বছরেও ইজারা বাবদ ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আসে। তাই ইজারাদার টোল আদায় করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Six state banks asked to cancel contractual appointments of MDs

The Financial Institutions Division (FID) of the finance ministry has recommended that the boards of directors of six state-run banks cancel the contractual appointment of their managing directors and CEOs..The six state-run banks are Sonali Bank, Janata Bank, Agrani Bank, Rupali Bank, BAS

1h ago