স্থায়ীভাবে গাজা দখল করতে চায় ইসরায়েল

ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি নেতা ইতামার বেন-গির। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি নেতা ইতামার বেন-গির। ফাইল ছবি: রয়টার্স

গাজা উপত্যকার স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ নেওয়া উচিৎ ইসরায়েলের। এমনটাই মত দিয়েছেন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গির।  

আজ রোববার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে এই মতামত প্রকাশ করেন বেন-গির।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনা ও উদ্যোগের বিরুদ্ধাচরণ করেন তিনি। জানান, হামাসকে 'ধ্বংস করতে হবে' যাতে তারা 'পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করে'।

তিনি হিব্রু ভাষায় লিখিত পোস্টে দাবি করেন, হামাসের হাতে আটক সব জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় সব ধরনের মানবিক ত্রাণ ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে রাখা উচিৎ। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের উচিৎ সেখানকার বাসিন্দাদের অভিবাসন করে অন্যত্র চলে যাওয়ায় উৎসাহ দেওয়া। এ ছাড়া, 'ইসরায়েলের উচিৎ গাজা উপত্যকার সমগ্র ভূখণ্ড অধিগ্রহণ করে স্থায়ীভাবে দখলে রাখা', যোগ করেন তিনি।

গাজা সিটির আল-তাবিন স্কুলে ইসরায়েলি হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স
গাজা সিটির আল-তাবিন স্কুলে ইসরায়েলি হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

এর আগে ইসরায়েলের চ্যানেল ১৪কে বেন-গির বলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইসরায়েলের অংশ নেওয়া হবে এক 'গুরুতর ভুল'। তিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বলেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী 'গাজায় দুর্দান্ত কাজ করছে'।

'কেন আপনি তাদেরকে সরিয়ে নেবেন?', প্রশ্ন করেন বেন গির।

বেন-গির বলেন, 'কেন আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব? এই যুদ্ধে হামাস ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং আমাদের জয় আসন্ন। আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি যে আমি আশা করি এবং প্রার্থনা করি, নেতানিয়াহু কোনো অসম্পূর্ণ চুক্তিতে একমত হবেন না। আমাদের বিজয় হয়েছে এবং আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।'

এদিকে একটি স্কুল ভবনে ইসরায়েলি হামলায় ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে আলজেরিয়া।

স্কুল ভবনটিতে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিরা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিলেন।

আল-তাবিন স্কুলে ১৯ জন হামাস যোদ্ধাকে হত্যার দাবি জানালেও এই তালিকায় ভুল রয়েছে বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, তালিকার অর্ধেকের বেশি মানুষই কোনো ধরনের রাজনৈতিক বা সামরিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন।

গাজা সিটির আল-তাবিন স্কুলে ইসরায়েলি হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স
গাজা সিটির আল-তাবিন স্কুলে ইসরায়েলি হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় এক হাজার ১৯৭ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ।

হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৫১ জন মানুষ, যাদের ১১১ জন এখনো গাজায় আটক আছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, জিম্মিদের মধ্যে ৩৯ জন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন।

সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার ও প্রতিশোধমূলক গণহত্যা শুরু করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৯ হাজার ৭৯০ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৯১ হাজার ৭০২ জন মানুষ। হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

Comments

The Daily Star  | English
special security for foreign investors in Bangladesh

Police, Bida launch special security measures for foreign investors

Held meeting with officials of foreign companies, introduced dedicated emergency contact line

3h ago