ব্রহ্মপুত্র-দুধকুমার-ধরলার পানিও বাড়ছে

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে মঙ্গলবার থেকে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে।
বন্যায় উলিপুরের হাতিয়া এলাকার চিত্র। ছবি: এসি দিলীপ রায়/স্টার

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে মঙ্গলবার থেকে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে ব্রহ্মপুত্র-দুধকুমার ও ধরলা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতি আবারো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্য অনুসারে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ছিলো বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপরে। পরের ১২ ঘন্টায় সেই পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে আজ সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

একই সময়ে পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি  বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপরে এবং কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়ন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।

কুড়িগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান এ ব্যাপারে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বুধবার বিকেল থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এচাড়া উজানে ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানিও আসছে। ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি ওঠানামা করছে। 

এতে চলতি বছরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পাশাপাশি তা স্থায়ী রূপ পেয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ব্যক্ত করেন এই প্রকৌশলী।

বন্যাকবলিত উলিপুর উপজেলার হাতিয়া এলাকার বাসিন্দারা বলছেন,মঙ্গলবার থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করায় তারা আশা করেছিলেন যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ভেবেছিলেন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারবেন। কিন্তু আবার পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা হতাশ হয়েছেন।

হাতিয়া গ্রামের সুরুজ আলী (৬৫) যেমন জানালেন, বসতবাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় তারা গত ২ জুলাই থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি নিয়ে তারা পলিথিনে মোড়ানো ঝুপড়িতে বাস করছেন। অপেক্ষা করছেন এই দুঃসহ পরিস্থিতির অবসান হওয়ার জন্য। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

2h ago