মৌলভীবাজারে তিন নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, বন্যার শঙ্কা
দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে মৌলভীবাজার জেলার প্রধান তিন নদী গত দুই মাসে তৃতীয়বারের মতো বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মনু, ধলাই ও জুড়ি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
কমলগঞ্জ এলাকার স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের লাঘাটা ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেয়ে পানির চাপে দমকলের ঝিলের ওপর স্থাপিত কালভার্টটি ভেঙে গেছে। ভাঙনের অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে সুনছড়া-চিৎলীয়া-কামারছড়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
গোলেরহাওড় এলাকায় ধলাই নদীর বাঁধ উপচে পানি ঢুকে করে ফসলি জমিসহ কমলগঞ্জ-আদমপুর এবং শমসেরনগর-কুলাউড়া সড়কের শমসেরনগর বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
খুশালপুর, ইসলামপুর, মাধবপুর, আদমপুর, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, মুন্সিবাজার, পতনঊষার ও রহিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চলের আউশ ধানের জমি তলিয়ে গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা নিবিড়ভাবে এটি পর্যবেক্ষণ করছি।'
জানতে চাইলে কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ধলাই নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। কমলগঞ্জে কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।'
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী খলিলুর রহমান জানান, প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও নিম্নচাপের কারণে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের লাউয়াছড়ায় ভূমিধসের কারণে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ অঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।
Comments