এস আলম গ্রুপের প্রতিবাদ ও আমাদের বক্তব্য

২ জুলাই এস আলম গ্রুপের পাঠানো প্রতিবাদটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো। সেইসঙ্গে আমাদের বক্তব্য জানানো হলো।

'৩ বছরে এস আলমের ২ প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি: এনবিআর' শিরোনামে গত ৩০ জুন দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন, যেখানে ভ্যাট ফাঁকি এবং এর জরিমানাসহ এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছে সরকারের সাত হাজার কোটি টাকার বেশি পাওনার তথ্য জানানো হয়, সেটি নিয়ে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে এস আলম গ্রুপ। গত ২ জুলাই এস আলম গ্রুপের পাঠানো প্রতিবাদটি হুবহু নিচে তুলে দেওয়া হলো। সেইসঙ্গে আমাদের বক্তব্য জানানো হলো।

এস আলম গ্রুপের পাঠানো প্রতিবাদ

এটি আমাদের নজরে এসেছে যে, স্বনামধন্য দৈনিক ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টার (The Daily Star) গত ৩০.০৬.২০২৪ ইং তারিখে বিকাল ৪:২৫ মিনিটে তাদের অনলাইন সংস্করণে এবং ০১.০৭.২০২৪ ইং তারিখে তাদের প্রিন্ট সংস্করণে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে, যার শিরোনাম ছিল "Two S Alam firms evaded Tk 3,500 crore in VAT, says NBR". উল্লিখিত সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এস. আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড এবং এস. আলম এডিবল অয়েল লিমিটেডের গত ২০১৯-২০২০ হতে ২০২১-২০২২ তিন অর্থবছরের অপরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর এবং জরিমানাসহ অনধিক ৭০০০ কোটি টাকা ফাঁকি দিয়েছে। উল্লিখিত সংবাদ প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে ২০১৯ থেকে ২০২২ সময়কালে, এই দুটি কোম্পানি ৩,৫৩৮ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। উক্ত কোম্পানিদ্বয়ের ভ্যাট দায়ের উপর ৩৫৩১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই দুই কোম্পানির উল্লেখিত সংবাদ প্রতিবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে এই দুটি কোম্পানি তিন আর্থিক বছরে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ভ্যাট রিটার্নে কাঁচামাল ক্রয়ের মূল্য কম দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। প্রতিবেদনে আরো অভিযোগ করে বলা হয় যে, কোম্পানি দুটি উৎস কর কম দেখিয়ে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। আরো অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিভিন্ন ক্রেতার কাছে তেল বিক্রি সত্ত্বেও কোম্পানিদ্বয় বিক্রির লেনদেনের ওপর ধার্যকৃত ভ্যাট পরিশোধ করেনি। উল্লিখিত সংবাদ প্রতিবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে ভ্যাট ফাঁকি দিতে সয়াবিন ও পাম তেল স্থানীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করা বা অন্য কোনো উপায়ে সংগ্রহ করে পণ্য তৈরি করে বিক্রি করা হয়েছে। এতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, স্থানীয়ভাবে ৮১০০.৩৯ কোটি টাকা মূল্যের কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়েছে, যার বিপরীতে কোম্পানি কোনো ভ্যাট চালান বা বিল অফ এন্ট্রি জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

উল্লেখিত উপরোক্ত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং প্রতিবেদনে হীন উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। উভয় কোম্পানিই ২৭.১২.২০২৩ ইং তারিখে ভ্যাট কর্তৃপক্ষের কাছে উত্তর জমা দেয় এবং তারপরে ১৮.০৩.২০২৪ ইং তারিখে তাদের উত্তরের ব্যাখ্যা দাখিল করে। ১৮.০৩.২০২৪ইং তারিখে প্রদত্ত ব্যাখ্যা অনুযায়ী পরিস্কারভাবে প্রতিয়মান হয় যে- প্রথমত, কোম্পানি দুটি আইন অনুযায়ী উৎস কর সংগ্রহ করে এবং ভ্যাট কমিশনারের কাছে উপস্থাপিত তথ্য ও প্রমাণাদি সাপেক্ষে কোনো ভ্যাট ফাঁকির ঘটনা ঘটেনি।

দ্বিতীয়ত, ১০,৩২০ কোটি টাকা এবং ৯,২০৭ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট অডিট রিপোর্টে বিক্রয় হিসাবে দেখানো হয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে ভবিষ্যতে বিক্রয়ের জন্য ইচ্ছুক ক্রেতাদের পক্ষে ডিও লেটার ইস্যু করে অগ্রিম অর্থ হিসাবে প্রাপ্ত হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত ঘটেনি এবং উপরোক্ত প্রাপ্ত অর্থ কোম্পানিদ্বয় শেষ পর্যন্ত তাদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। অগ্রিম বিক্রির প্রেক্ষাপট ভোজ্য তেলের স্থানীয় বাজারে একটি সাধারণ প্রক্রিয়া এবং সারা দেশে এটি স্বীকৃত ব্যবসায়িক অনুশীলন হয়ে আসছে। অগ্রিম বিক্রির সেসব হিসাব যথাযথভাবে নথিবদ্ধ রয়েছে।

তৃতীয়ত, ভোজ্যতেল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল স্থানীয় বাজারে সহজলভ্য নয় এবং সেগুলো এল/সি এর মাধ্যমে আমদানি করতে হয়। এ ধরনের সকল পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রসহ ভ্যাট কমিশনার এর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ভ্যাট কমিশনার ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত বিষয়টি তার আদেশে আমলে না এনে পরিষ্কারভাবে এড়িয়ে গেছেন। যাইহোক, উল্লিখিত সংবাদ প্রতিবেদনে ০৯.০৬.২০২৪ইং তারিখে ভ্যাট কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দুটি কোম্পানির দুর্নাম রটানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। ভ্যাট কমিশনারেটের এই কার্যক্রম চলাকালীন, এই দুটি কোম্পানি তাদের ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের ব্যাখ্যার সমর্থনে তাদের বিস্তারিত প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য ভ্যাট কমিশনার মহোদয়কে বিনীতভাবে অনুরোধ করেছিল।

সবশেষে, গত ০৪.০৬.২০২৪ইং তারিখে পত্রের মাধ্যমে উভয় কোম্পানিই ১০.০৭.২০২৪ইং তারিখে বা তার পরে যেকোনো দিন শুনানির তারিখ নির্ধারণের জন্য ভ্যাট কমিশনারের কাছে আবেদন করেন। দুঃখের বিষয় যে, উক্ত আবেদন আমলে না নিয়ে ভ্যাট কমিশনার মহোদয় বিগত ০৯.০৬.২০২৪ইং তারিখে এতদ বিষয়ে আদেশ প্রদান করেন। যেটি ভ্যাট সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ ধারা ৭৩ এর সহিত ৮৫ ধারা সম্পূর্ণ লঙ্ঘন এর Principle of Nature Justice এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এখানে আশ্চর্যজনক বিষয় যে, ভ্যাট কমিশনার এর ০৯.০৬.২০২৪ ইং তারিখের অর্ডারটিতে ০৪.০৬.২০২৪ইং তারিখে কোম্পানিদ্বয়ের দাখিলকৃত দরখাস্ত সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যান।

তাই দুটি কোম্পানি কখনোই কোন পরিমাণ ভ্যাট এড়িয়ে যায়নি এবং আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমরা সঠিকভাবে শুনানির সুযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আমরা ইহা প্রমাণ করতে সক্ষম হবো। কোম্পানিদ্বয় ভ্যাট কমিশনারের উক্ত অর্ডারের বিরুদ্ধে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগে সুপ্রীমকোর্টে দুটি Writ Petition দাখিল করে। মাননীয় হাইকোর্ট ডিভিশন ০১.০৭.২০২৪ ইং তারিখে উক্ত দুইটি পিটিশনে Rule Nisi জারি করেছেন। যা উক্ত ইংরেজি দৈনিক পত্রিকাকে ৩০.০৬.২০২৪ইং তারিখে বেলা ২ঘটিকায় অবগত করা হয়েছিল। যাইহোক, দ্য ডেইলি স্টার ৩০.০৬.২০২৪ইং তারিখে বিকাল ৪:২৫ মিনিটে তাদের অনলাইন সংস্করণে এবং ০১.০৭.২০২৪ইং তারিখে তাদের প্রিন্ট সংস্করণে উল্লিখিত সংবাদ প্রতিবেদনটিতে সম্পূর্ণরূপে গোপন করে যে, ভ্যাট কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশটি ইতিমধ্যে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন। এটি বিচার প্রশাসনের হতাশা এবং তাই মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের গুরুতর অবমাননা।

দ্য ডেইলি স্টার এ প্রকাশিত উক্ত মিথ্যা, সম্পূর্ণ বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদকে আমরা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার ও আপত্তি জানাই। আমরা উল্লিখিত মিথ্যা সংবাদ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করি।

আমাদের বক্তব্য

প্রথমত, এনবিআরের চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের করা একটি অডিটের প্রতিবেদন এবং পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমাদের সংবাদ প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। দ্য ডেইলি স্টার কেবল ভ্যাট কমিশনারেটের সেই অনুসন্ধান অনুযায়ী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, উল্লিখিত দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভ্যাট ও এর জরিমানা হিসেবে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে সরকারের।

কাজেই প্রতিবাদে তাদের দাবি করা, 'সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং প্রতিবেদনে হীন উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে'—এটি সম্পূর্ণ অসত্য। দ্য ডেইলি স্টার জনস্বার্থে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্য নেই।

২০২৩ সালের অক্টোবরে মাঠ অফিস অডিট প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রায় আট মাস পরে ২০২৪ সালের জুনে ভ্যাট কমিশনারেট ভ্যাট দাবির আদেশ দেয়। অডিট এবং পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চলাকালীন এস আলম গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা তুলে ধরার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বিক্রি ও ক্রয়ের তথ্য তারা তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে এবং ভ্যাট রিটার্নে উপস্থাপন করেছে। কোম্পানি দুটি নিজেরাই ভ্যাট কর্তৃপক্ষের কাছে এসব তথ্য উপস্থাপন করেছে এবং সেখানে তথ্যের অমিলের বিষয়টি সরকারের ভ্যাট শাখা খুঁজে পেয়েছে, দ্য ডেইলি স্টার নয়।

ভ্যাট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিষ্ঠান দুটি লিখিত জবাবে বলেছে, 'ব্যাংক হইতে ঋণ গ্রহণের জন্য উল্লেখিত অডিট রিপোর্টে অতিরিক্ত বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করা হইয়াছে।' এ বিষয়ে এনবিআরের পর্যালোচনা কমিটি বলেছে, 'এটা যদি সত্য হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তারা সুস্পষ্টভাবে একটি ফৌজদারি অপরাধ করেছে।' পর্যালোচনা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে , সংশ্লিষ্ট ব্যাংক যদি'কাল্পনিক এবং অসত্য' আর্থিক বিবৃতির ভিত্তিতে ঋণ অনুমোদন করে থাকে, তবে এটি 'খুবই অপেশাদারভাবে কাজ করেছে'।

এনবিআর তাদের অডিট ও পর্যবেক্ষণে যা পেয়েছে আমরা সেটাই প্রকাশ করেছি এবং এর বাইরে একটি শব্দও নেই।

আমাদের সম্পাদকীয় নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান অনুযায়ী, প্রতিবেদনটি অনলাইনে প্রকাশের তিন দিন আগে এবং প্রিন্ট সংস্করণে ছাপার চার দিন আগে গত ২৭ জুন আমরা তাদের মূল কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।  প্রথম যোগাযোগ ও প্রতিবেদনটি  প্রকাশের মাঝখানে আমরা এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) সুব্রত কুমার ভৌমিক এবং গ্রুপের আইনি পরামর্শদাতা মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার কথা বলেছি এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আটটি বার্তা বিনিময় করেছি। মো. মুস্তাফিজুর রহমান তাদের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দিতে গত ২৯ জুন দ্য ডেইলি স্টারের অফিসেও এসেছিলেন এবং তার সঙ্গে প্রায় ৮০ মিনিটের বৈঠক হয়।

প্রকৃতপক্ষে, আমাদের প্রতিবেদনে কোম্পানি দুটির পক্ষ থেকে যে মন্তব্য ছাপা হয়েছে তার বেশিরভাগই ছিল মুস্তাফিজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে। এমনকি আমরা প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে তাকে তার মন্তব্যের একটি খসড়া পাঠিয়েছিলাম এবং সেখানে যা লেখা আছে সেটাই তার কোম্পানির ব্যাখ্যা কি না, তা নিশ্চিত করতে বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, 'এটা ঠিক আছে' এবং সেখানে কোনো পরিবর্তন, কোনো অংশ বাদ দেওয়া বা সংযোজনের পরামর্শ দেননি।

গ্রুপটির অবস্থান যেন স্পষ্ট থাকে, সেজন্য আমাদের প্রতিবেদনে তাদের বলা ৪৪২ শব্দ রেখেছি। এই শব্দগুলো নেওয়া হয়েছে শুধু গ্রুপটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের টেলিফোন এবং মুখোমুখি কথোপকথন থেকে। যদি আমরা এনবিআরের ভ্যাট শাখার প্রতিবেদনের ৩৪৭ শব্দ গণনা করি, যা আমরা তাদের ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগের ব্যাখ্যা হিসাবে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করেছি, তাহলে আমাদের ২৮৩০ শব্দের প্রতিবেদনের ৭৮৯ শব্দই গ্রুপটির বক্তব্য।

অনলাইনে প্রতিবেদনটি প্রকাশের ঘণ্টা দুয়েক আগে এস আলম গ্রুপ আমাদেরকে একটি নোটিশ পাঠায়, প্রতিবেদনটি যেন প্রকাশ করা না হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, তারা ভ্যাট ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন করেছে।

যেহেতু আমরা রিট পিটিশনের যথার্থতা সম্পর্কে মন্তব্য করিনি বা আলোচনা করিনি, তাই ট্রাইব্যুনালের আদেশে প্রদত্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি আমাদের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছি।

দ্য ডেইলি স্টার কখনোই 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' প্রতিবেদন করে না, যে মিথ্যা অভিযোগটি প্রতিবাদের শেষ অনুচ্ছেদে করা হয়েছে। আমরা আবারও বলছি, দ্য ডেইলি স্টার জনস্বার্থে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং কোম্পানি দুটির তিন হাজার ৫৩৮ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি এবং আরও তিন হাজার ৫৩১ কোটি টাকা জরিমানার বিষয়টিতে বড় ধরনের জনস্বার্থ রয়েছে।

এস আলম গ্রুপের পাঠানো প্রতিবাদে আমাদের প্রতিবেদনে উপস্থাপিত কোনো তথ্যের বিরোধিতা করা হয়নি বা সেখানে কোনো ভুল রয়েছে এমন প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।  আমাদের প্রতিবেদন সঠিক।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

8h ago