গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে

তিস্তায় নৌকাডুবি
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশের বিরুদ্ধে এক গরু ব্যবসায়ীকে মারধর করে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাশেদকে প্রধান আসামি করে মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি বুধবার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ জামান বিলাশ লালমনিরহাট শহরের কলেজ রোডের বাসিন্দা। 

অভিযুক্ত অন্য পাঁচজন হলেন বালাটারী এলাকার সৌরভ হোসেন ওরফে টেরা, ক্যানটিন মোড় এলাকার রায়হান ইসলাম, বত্রিশহাজারী এলাকার গোলাম রব্বানী, খোর্দ্দসাপটানা এলাকার বাবু মিয়া ও জেলা পরিষদ মোড় এলাকার তুষার ইসলাম। তারা সবাই ছাত্রলীগ নেতা রাশেদের পূর্বপরিচিত।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আইয়ুব আলীর বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি এলাকায়।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত রোববার দুপুরে জেলা শহরের জজ আদালতের সামনে থেকে ৫জন যুবক তাকে ধরে নিয়ে লালমনিরহাট সরকারি কলেজ মাঠে নিয়ে যায়। সেসময় কলেজ মাঠে উপস্থিত হন ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ। পরে তার কাছে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। 

তিনি দিতে রাজি না হলে কলেজ মাঠে তাকে মারধর করা হয়। তার পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছাত্রলীগ নেতার নির্দেশে তাকে কলেজ মাঠ থেকে শহরের ক্যান্টিন মোড়ে ছাত্রলীগ নেতার নিজস্ব অফিসে আনা হয়। সেখানে গরু ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়। রোববার বিকেল ৪টায় গরু ব্যবসায়ীর ছেলে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন ছাত্রলীগ নেতার অফিসে। ছাত্রলীগ নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা টাকা হাতে নিয়ে গরু ব্যবসায়কে ছেড়ে দেন।

'ছাত্রলীগ নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে ভারতীয গরু ব্যবসায়ী ভেবে চাঁদাবাজি করেছেন। আমি দেশীয় গরুর ব্যবসা করি। তারা আমাকে অনেক মারধর করেছেন,' তিনি বলেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অসত্য দাবি করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি গোলমালের খবর শুনে কলেজ মাঠে গিয়েছিলাম। গরু ব্যবসায়ী আিইয়ুব আলীকে উদ্ধার করে আমার অফিসে এনেছিলাম। পরে তিনি বাড়িতে ফিরে গেছেন।' 

'মারধর ও চাঁদাবাজির কোনো ঘটনাই ঘটেনি,' তিনি দাবি করেন। 

'গরু ব্যবসায়ীকে যারা আটক করেছিলেন তাদের আমি চিনি। কিন্তু তাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই,' তিনি বলেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে রায়হান ইসলাম ও গোলাম রব্বানীর ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেননি।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানিয়েছেন অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Neighbours’ support over Rohingya crisis remains minimal: foreign adviser

'During the last eight years, the amount of or the level of support that we expected from our neighbours has not been forthcoming'

1h ago