আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আশুলিয়ার ইথিক্যাল গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতন ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সকালে বিক্ষোভ করেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার আশুলিয়ায় কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর এলাকার ইথিক্যাল গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতন ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে প্রথমে কারখানার সামনে ও পরে নরসিংহপুর-কাশিমপুর সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করে।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, গত এপ্রিল মাসের বেতন চলতি মাসের ১০ তারিখে পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু ১০ তারিখ কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিক বেতন পরিশোধ না করে ১৫ মে শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করবে বলে জানায়। সর্বশেষ গতকাল শ্রমিকরা কারখানায় গেলে কর্তৃপক্ষ পুনরায় আগামী ২১ মে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়। যদিও মালিকপক্ষের এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকরা মেনে নেয়নি।

আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগ দিতে গেলে কারখানার গেইটে গিয়ে একদিনের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শ্রমিকরা। পরবর্তীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা কারখানা সংলগ্ন সড়কে নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করলে শিল্প পুলিশ  শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

বন্ধের নোটিশে বলা হয়, ইথিক্যাল গার্মেন্টস লিমিটেডের সব শাখা আজ সাধারণ ছুটি হিসেবে বন্ধ থাকবে।

শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কারখানাটিতে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। গতকাল শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের কথা ছিল। বেতন পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। এদিকে আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এসে কারখানা বন্ধ পায়। পরে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

ইথিক্যাল গার্মেন্টসের মহাব্যবস্থাপক পিন্টু অধিকারী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে তবে এর বাইরে আর কোন পাওনা বকেয়া নেই। আগামী ২১ মে শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করার কথা বলা হয়েছে।

আগের তুলনায় কারখানায় কার্যাদেশ এখন অর্ধেকেরও কম। কয়েকদিন আগে আমাদের একটি পেমেন্ট পাওয়ার কথা ছিল, সেটি না পাওয়ায় এই সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

3h ago