সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

সোহেল চৌধুরী হত্যা
আজিজ মোহাম্মদ ভাই। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র অভিনেতা সোহেল চৌধুরীকে হত্যার দায়ে ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই মামলায় তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল হাসান ইমনসহ ছয় জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুজন হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।

দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিই পলাতক।

মামলার আসামি ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরীর উপস্থিতিতে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।

খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, ফারুক আব্বাসী, সেলিম খান ও হারুন-অর-রশিদ ওরফে লেদার লিটন।

তাদের মধ্যে ইমন এখন জেল হেফাজতে এবং আশীষ রায় চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন ও ফারুক আব্বাসী জামিনে আছেন।

কিন্তু আজকের রায়ের সময় মামুন ও ফারুক তাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে আবেদন জমা দিয়ে আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

রায়ে বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে তিন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে।

প্রসিকিউশন ইমনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে তাদের খালাস দেওয়া হয়।

দীর্ঘ ২৫ বছর পর ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনালে বাদী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়।

এর আগে প্রসিকিউশন ও ডিফেন্স তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করে এবং ট্রাইব্যুনাল মামলার অভিযোগকারীসহ ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করে।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৮ নম্বর রোডের আবেদিন টাওয়ারের ট্রাম্পস ক্লাবে অভিনেতা সোহেলকে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে।

তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ২ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ।

তদন্তকালে আদনান সিদ্দিকী একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন যে কীভাবে ঘটনাস্থলে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছিল।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগ গঠনের দুই বছর পর মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।

মামলার এক আসামির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন।

Comments

The Daily Star  | English
Government notification banning Awami League

Govt bans activities of AL until ICT trial completion

A Public Security Division joint secretary confirmed the matter

1h ago