ঋণের তৃতীয় কিস্তি

রিজার্ভ-মূল্যস্ফীতি-ব্যাংক-রাজস্বে গুরুত্ব আইএমএফের

আইএমএফ
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ঢাকা সফরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতির হার, ব্যাংকিং খাত ও রাজস্ব সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পর্যালোচনা দল।

আজ মঙ্গলবার ১০ সদস্যের আইএমএফ দল ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।

আগামীকাল থেকে তারা অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।

দলটি ঢাকায় থাকবে আগামী ৮ মে পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে—আইএমএফ এরই মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে শতাধিক প্রশ্ন পাঠিয়েছে।

সফররত দলটি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জ্বালানি ভর্তুকি, সরকারি ঋণ, আসন্ন বাজেট ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর কর্মক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করবে।

গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের রাজস্ব আদায় জিডিপির আট থেকে নয় শতাংশ। আইএমএফের ঋণ কর্মসূচিতে রাজস্ব খাতে সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া, আইএমএফ দল এই সফরে ব্যাংকিং খাতে বেশকিছু সংস্কার প্রস্তাব ও ব্যাংক কোম্পানি আইন বাস্তবায়নসহ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবে।

গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদনের পর থেকে ঋণদাতা সংস্থাটি এখন পর্যন্ত দুই কিস্তিতে এক দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ এ ঋণ চায়।

তবে ঋণ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রিজার্ভের উন্নতি হয়নি। আইএমএফের হিসাব অনুসারে, সম্প্রতি বাংলাদেশের মোট রিজার্ভ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফের ঋণের অন্যতম শর্ত নির্দিষ্ট নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) বজায় রাখা। প্রথম পর্যালোচনায় বাংলাদেশ তা পূরণে ব্যর্থ হয়। এবারও ব্যর্থ হতে যাচ্ছে।

এ ছাড়া, গত বছরের মার্চ থেকে দেশ মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের বেশি।

গত ১৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বৈঠকের ফাঁকে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের রিজার্ভের খুব বেশি উন্নতি হয়নি।'

বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যখন নির্বাচন হয়, তখন সব সময়ই কিছু অনিশ্চয়তা থাকে। আর্থিক হিসাবে এর প্রভাব পড়ে।'

'নমনীয় বিনিময় ব্যবস্থায় যাওয়া বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ,' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

16h ago