বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে—গত জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৩৬ মাস ধরে মূল্যস্ফীতির চাপ চলছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে মজুরি বাড়ানো হলেও সেই বাড়তি টাকা ঢুকে যাচ্ছে...
ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও এখনো ১০ শতাংশের ওপরে আছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, নতুন বছরে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়বে কি না এর উত্তর রাজনীতিবিদদের কাছে।
বিশ্বব্যাংকের অক্টোবরের কমোডিটি মার্কেট আউটলুকে ২০২৫ সালে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য পাঁচ শতাংশ ও ২০২৬ সালে আরও দুই শতাংশ কমার পূর্বাভাস দিয়েছে।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রকৃত অবস্থা অস্পষ্ট ছিল। গত ৫ আগস্ট তার পতনের পর ব্যাংক খাতের আসল চিত্র বের হতে শুরু করে।
সামগ্রিক অস্থিরতার মধ্যে ২০২৪ সালে চাকরির বাজার ভালো ছিল না।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে নয় শতাংশের ওপরে থাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে।
পণ্যের দামের অস্থিরতা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোকেও জর্জরিত করেছে। এসব দেশ খাদ্য মূল্যস্ফীতিকে প্রায় পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে।
সামগ্রিক অস্থিরতার মধ্যে ২০২৪ সালে চাকরির বাজার ভালো ছিল না।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে নয় শতাংশের ওপরে থাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে।
পণ্যের দামের অস্থিরতা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোকেও জর্জরিত করেছে। এসব দেশ খাদ্য মূল্যস্ফীতিকে প্রায় পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে।
সরকার আগামী অর্থবছরের জন্য আট লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পরিকল্পনা করছে, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
‘সরকার হয়তো খাদ্যশস্য মজুদের সংকটে ভুগছে।’
গত নভেম্বরে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ।
গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ হয়েছে, যা এক মাস আগে ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর প্রায় তিন লাখ ৪৭ হাজার পলিসি বন্ধ হয়ে গেছে।
মুদ্রানীতি কড়াকড়ি ও আমদানি কমিয়েও যখন মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব হয় না, তখন সাধারণ মানুষের জন্য এই লড়াই আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
বিবিএস বলছে, অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ