কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করবো না: ইসি আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, 'আমরা কোনো অপশক্তি ও অন্যায় আবদারের কাছে মাথা নত করবো না। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা যা করনীয়, সবই করা হবে।'

আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন৷

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি আলমগীর৷

তিনি বলেন, 'আলোচনায় কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উঠে এসেছে। সেগুলো কীভাবে সমাধান করতে পারবো, সেটা নিয়ে কাজ করছি৷ প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাঁটানো ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।'

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিধিমালা অনুযায়ী, নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত নির্বাচনী ক্যাম্প করা হলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুড়িয়ে দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইসি আলমগীর বলেন, 'অতিরিক্ত ক্যাম্প করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ প্রয়োজনে সেসব অবৈধ ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হবে৷ প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করে, সে বিষয়ে মাইকিং করা হবে৷'

'স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে উত্তেজনা থাকে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সেই উত্তেজনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বা সুষ্ঠু নির্বাচনে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি যাতে না করতে পারে, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক থাকবে৷ কেন্দ্রে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না৷ আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।'

নির্বাচনকালীন কোনো জনপ্রতিনিধি প্রভাব বিস্তার করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'এখানে কে কার আত্মীয়, আর কে কার আত্মীয় নয়—সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়৷ আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো, তিনি প্রার্থী কি না৷ প্রার্থী হলে সব আইনগত অধিকার ভোগ করবেন৷ যেসব কাজ করার তার অধিকার নেই, সেসব কাজ করলে তিনি যার আত্মীয়ই হোন না কেন, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না৷'

যারা ইতোমধ্যে নির্বাচনী আইন ভেঙেছেন, কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলেও জানান ইসি আলমগীর৷

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

12h ago