বরিশাল থেকে ঢাকায় ফিরতে বাস স্বল্পতা ও বাড়তি ভাড়ার বিড়ম্বনা

এক থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে বাসে উঠতে পারছেন যাত্রীরা। ছবি: টিটু দাস/স্টার

ঈদে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরলেও, ছুটি শেষে বাসে ঢাকা ফিরতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বরিশালের যাত্রীরা। 

আজ সোমবার সকালে নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাস স্বল্পতার কারণে শতশত যাত্রী অপেক্ষা করছেন। অনেক যাত্রীকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। 

ঢাকামুখী যাত্রীর তুলনায় বাসের স্বল্পতা রয়েছে। অন্যদিকে, ঢাকার বাসভাড়া দ্বিগুণ পর্যন্ত আদায় করতে দেখা গেছে।

তবে, বাস টার্মিনালের তুলনায় লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীর ভিড় তুলনামূলক কম দেখা গেছে।

বাস টার্মিনলের তুলনায় লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীর ভিড় কম দেখা গেছে। ছবি: টিটু দাস/স্টার

দুপুর সাড়ে ১২টায় পরিবারসহ বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে দেখা যায় ভোলার বাসিন্দা মুরাদ খলিফাকে। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'লোকাল বাসে ৫০০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছি।'

বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে সদরে এসেছেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ৬০০ টাকা দিয়ে ইলিশ পরিবহনের টিকিট কিনতে পেরেছেন । 

মেহেন্দীগঞ্জ থেকে এসে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ৮০০ টাকা দিয়ে ইলিশ পরিবহনের টিকিট কিনেছেন রাজিব ইসলাম।

ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন মনোয়ারা বেগম (৪০)। তিনি বলেন,  'স্বস্তি নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি আসতে পারলেও, এখন ঢাকায় যেতে নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ছি। এগুলো দেখার কেউ নেই।' 

বাসের স্বল্পতার বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বাস-মালিক গ্রুপের সম্পাদক কিশোর কুমার দে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঈদের পরে বাস চালক-হেলপাররা সবাই ফিরে না আসায় সব বাস ছাড়া যাচ্ছে না। এ কারণে বাসের স্বল্পতা।'

তিনি জানান, ঈদের আগে বরিশালমুখী প্রতিদিন ৩০০ বাস চললেও, বর্তমানে ঢাকামুখী বাসের সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। 

বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ঢাকা থেকে বরিশালগামী বাসগুলো প্রায় ফাঁকা। এ কারণে ভাড়া সামান্য বেড়েছে।'

এদিকে, বরিশাল নদীবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, ৯টি লঞ্চ ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বাসের তুলনায় লঞ্চে ভিড় তুলনামূলক কম।

সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির ম্যানেজার জাকির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগের মতো লঞ্চে ভিড় নেই। এজন্য লঞ্চের ডাবল ট্রিপ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।'

বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ডেইলি স্টারকে জানান, রোববার ১৪টি লঞ্চে ৩০ হাজারের বেশি যাত্রী ঢাকা গেছে। আজ অন্তত ৯টি লঞ্চ ঢাকায় যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

55m ago