বিশ্বজুড়ে ইফতারের ৫ ঐতিহ্যবাহী পানীয়

শরবত
ছবি: সংগৃহীত

আমাদের দেশের মতো সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে সবার ইফতারেই থাকে নিজেদের বানানো নানা রকম শরবত ও পানীয়। এসব পানীয় বা শরবত ঐতিহ্যভেদে আলাদা হয়।

আজ বিশ্বের এমন ৫টি ঐতিহ্যবাহী পানীয় সম্পর্কে জানব।

কামার আল-দ্বীন

কামার আল-দ্বীন একটি জনপ্রিয় মধ্যপ্রাচ্যের পানীয়, যা রমজান মাসে ইফতারে পান করা হয়। এটি শুকনো এপ্রিকট পেস্ট, পানি, চিনি এবং পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি করা হয়। খেতে খুবই মজাদার এবং পুষ্টিকরও। উত্তর আফ্রিকাতেও গরমের মাসগুলোতে ইফতারের পানীয় হিসেবে খাওয়া হয় এটি।

জাল্লাব

এটিও একটি গ্রীষ্মকালীন পানীয় যা মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। রমজানে ইফতারে রাখা হয় এটি। গোলাপ জল, বরফ এবং ভেজানো বাদাম দিয়ে খেজুর এবং আঙুরের গুড়ের পেস্ট মিশিয়ে তৈরি করা হয় এটি। জাল্লাব শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, সঙ্গে পুষ্টিও জোগায়। এই অঞ্চলের সবাই কম-বেশি এটি ইফতারে রাখেন।

কারকাডে

ফুল থেকে তৈরি এই পানীয় কড়া গন্ধ এবং রঙের জন্য পরিচিত। এটি গরম বা ঠান্ডা যেকোনোভাবেই উপভোগ করা যায়। বিশ্বের বেশকিছু স্থানে ইফতারের খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয় এটি। একইসঙ্গে বিয়ে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানেও এটি জনপ্রিয়। যদিও ঠান্ডা কারকাডে ইফতারে বেশি পছন্দ করা হয়।

এস কোপিওর বা ম্যাকাপুনো

ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের জনপ্রিয় ইফতার পানীয় এস কোপিওর। এটি এস কোপিওর বা ম্যাকাপুনো নামের বিশেষ নারকেলের সঙ্গে কমলার রস বা গোলাপের শরবত, চিনি, আগার আগার পাউডার দিয়ে তৈরি করা হয়।

সাহলাব

সাহলাব একটি ঘন ঐতিহ্যবাহী লেবানিজ পানীয়। যদিও এটি অনেকটা পুডিংয়ের মতো খাওয়া হয় এর ঘনত্বের কারণে। এটি গরম দুধ, বাদাম এবং দারুচিনি দিয়ে তৈরি করা হয় এবং ইফতারে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করা হয়। সাহলাব  রমজান মাসে সিরিয়া, জর্ডান এবং ফিলিস্তিনেও জনপ্রিয়।

প্রতিটি পানীয়ই সহজ কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি। তাই চাইলে আপনিও ঘরে বসে বানিয়ে ফেলতে পারেন যেকোনো একটি। ইফতারে যোগ করতে পারেন ভিন্ন এক স্বাদ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands. 

2h ago