জনগণ যাকে খুশি ভোট দিক, কিন্তু নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ নির্বাচন ২০২৪
রোববার সকাল ৮টায় রাজধানীর ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে সংসদ নির্বাচনের ভোট দেওয়া শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ যাকে খুশি ভোট দিক, কিন্তু নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়, এটাই আমরা চাই।

আজ রোববার সকাল ৮টায় রাজধানীর ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে সংসদ নির্বাচনের ভোট দেওয়া শেষে এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল। দেশের মানুষ যে ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছে এবং নির্বাচন যে একান্তভাবে জরুরি, কারণ পাঁচ বছর পর একটা নতুন সরকার আসবে, জনগণ তার ইচ্ছামতো ভোট দেবে। আর সেই ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি।'

তিনি বলেন, 'এখানে বিএনপি-জামাত জোট জ্বলাও-পোড়াও করেছে। ট্রেনে আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে গাড়িতে আগুন দিয়েছে, মানুষকে বাধা দিয়েছে, বোমা হামলা, ককটেল হামলা করেছে। আমি বলব তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাদের দেশপ্রেম নেই।'

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, '২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই এত উন্নতি হয়েছে। আমাদের সামনে আরও কাজ আছে। আমরা সেগুলো সম্পন্ন করতে চাই। আমি আশা করি নৌকা মার্কা জয়লাভ করবে এবং আবার আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা যেটা পেয়েছে বাংলাদেশ, সেটা বাস্তবায়ন করব।'

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আবারও বলব আপনারা সবাই ভোট দিতে আসবেন। আপনাদের ভোট অত্যন্ত মূল্যবান ভোট। এই ভোটের অধিকারের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। আমরা জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছি।'

'আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। জনগণ যাকে খুশি ভোট দিক, কিন্তু নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়, সেটাই আমরা চাই,' বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল। তারা কখনো নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি। এরা ভোট কারচুপি, ভোট সিল মারা আর মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়া, এটাই তাদের চরিত্র। সেই সুযোগটা তারা পাচ্ছে না। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ কখনো অভিযোগ করতে পারেনি। ওই নির্বাচনেও বিএনপির পেয়েছিল মাত্র ৩০টি সিট। এরপর থেকেই বিএনপি নির্বাচনের বিরুদ্ধে। এদের জন্মলগ্ন থেকেই ভোট কারচুপি, সিল মারা, হ্যাঁ-না ভোট, ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলাই ওদের চরিত্র। সেটা করতে পারবে না বলেই তারা নির্বাচনে আসে না।'

নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাকে গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু কার কাছে? একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছে? না। আমাকে জবাবদিহি করতে হবে জনগণের কাছে। জনগণ এটি গ্রহণ করবে কি, করবে না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।' 

 

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago