গাইবান্ধার ডিসির বিরুদ্ধে সিইসির কাছে ২১ সাংবাদিকের অভিযোগ

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী নাহিদ রসুল
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী নাহিদ রসুল। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনীর তথ্য দিতে অসহযোগিতার বিষয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা  কাজী নাহিদ রসুলের বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গাইবান্ধায় কর্মরত ২১ সাংবাদিক।

গত শনিবার দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ২১ জন স্থানীয় সাংবাদিক সিইসির ইমেইলে এ অভিযোগ পাঠান।

নির্বাচনীর তথ্য দিতে অসহযোগিতার বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসকের দ্রুত বদলির দাবি জানিয়েছেন তারা।

সাংবাদিকদের অভিযোগ, কাজী নাহিদ রসুল গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই স্থানীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। জরুরি কোনো বক্তব্য কিংবা জনকল্যাণমূলক কাজের তথ্যের জন্য ডিসিকে বারবার ফোন করলেও তিনি কারো ফোন ধরেন না। ১০ দিন ফোন করলে কালেভদ্রে একদিন ফোন ধরেন তিনি। এতে করে সংবাদ পরিবেশনে তাদের সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ডিসির কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তার নিয়োজিত এপিএস (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এর কাছে চিরকুট দিতে হয়। চিরকুটে সাক্ষাতের বিষয় উল্লেখ করতে হয়। এরপর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও সাক্ষাতের অনুমতি পাওয়া যায় না।

সাংবাদিকরা আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে কোনো গণমাধ্যম কর্মীকে আমন্ত্রণ বা অবগত করা হয় না। এমনকি তথ্য সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করলে তাকে অপমান করে বের করে দেওয়া হয়। তার কার্যালয়ে কর্মরত অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও সাংবাদিকদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করেন।

এ অবস্থায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত সংবাদ তৈরিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের বক্তব্য না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা। ফোন না ধরা ও সাক্ষাৎ না করায় নির্বাচনী গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও প্রশাসনকে কেউ তাঁকে জানাতে পারছে না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তার কাছে রিটার্নিং কর্মকর্তার এসব বিষয় তুলে ধরেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা।

সেই সময় সুষ্ঠু নির্বাচনে সাংবাদিকদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেছিলেন, 'আমি বলে যাব, তিনি (ডিসি) সাংবাদিকদের ফোন ধরবেন এবং নির্বাচনী তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।'

কিন্তু এ আশ্বাসের পরেও অসহযোগিতামূলক আচরণ করেই চলছেন ডিসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী নাহিদ রসুল। তাই আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে তাকে বদলি করা গাইবান্ধার মানুষের কাছে সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে পরিচঅয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাচনী কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শুধু সাংবাদিক নয়, রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তাদের ফোনও বেশিরভাগ সময় ধরেন না। নির্বাচনের সব দাপ্তরিক কাজ দায়িত্ব তিনি একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে দিয়েছেন। এর বাইরে ডিসি আর কারো ফোন ধরেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The Inspector General of Police (IGP) has issued a comprehensive new dress code titled Police Dress Rules, 2025, detailing rank-wise uniforms and accessories for all Bangladesh Police members.

4h ago