পাগলা মসজিদ: সব রেকর্ড ভেঙে দানবাক্সে মিলল ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার টাকা

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সে পাওয়া অর্থ গণনা চলছে। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স ৩ মাস ২০ দিন পর খুলে ২৩ বস্তায় পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। যা এই মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া নগদ টাকার হিসাবে সর্বোচ্চ। এর সঙ্গে দানবাক্সে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গহনা।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের নয়টি দানবাক্স খোলা হয়।

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে মোট আটটি দানবাক্স থাকলেও এবার আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এখন পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সংখ্যা নয়টি।

মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'এর আগে সর্বশেষ ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।'

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্র জানায়, টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামসহ মাদ্রাসার ১১২ জন শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৫০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্র জানিয়েছে, মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।

পাগলা মসজিদকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার নামকরণ হবে 'পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স'। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

The end of exemption?

TRIPS waiver end poses dual challenge: legal and technological

19h ago