পাগলা মসজিদ: ২৩ বস্তায় পাওয়া গেল রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

এর আগে মে মাসে যখন দানবাক্স খোলা হয়েছে, তখন পাওয়া যায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।
দানবাক্সে পাওয়া টাকা গণনা চলছে। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৩ বস্তায় মোট ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গেছে।

৩ মাস পর আজ শনিবার সকালে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গণনা শেষে এই টাকার পরিমাণ জানান কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

এবারের টাকার পরিমাণ সর্বোচ্চ উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, দানবাক্সে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গেছে।

এর আগে মে মাসে যখন দানবাক্স খোলা হয়েছে, তখন পাওয়া যায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।

তার আগে গত ৭ জানুয়ারি দানবাক্সগুলোতে পাওয়া যায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা।

দানবাক্সের টাকা গণনায় প্রশাসনের কর্মকর্তা,  মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যাংক কর্মী, মসজিদ কমিটির সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।

মানুষের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ পাগলা মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয় বলে জানান মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি খলিলুর রহমান।

 

Comments