পাগলা মসজিদের ৮ দানবাক্সে সর্বোচ্চ ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

পাগলা মসজিদের ৮ দানবাক্সে সর্বোচ্চ ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
পাগলা মসজিদে চলছে দানবাক্সে পাওয়া টাকা গণনা | ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্স থেকে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার সকালে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, 'এখন গণনা চলছে। এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।'

এর আগে গত ৬ মে দানবাক্স খুলে রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় সেবার রেকর্ড ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।

পাগলা মসজিদের ৮ দানবাক্সে সর্বোচ্চ ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
ছবি: সংগৃহীত

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গণনায় অংশ নেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছিল মসজিদটি। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় অনুদান দেওয়া হয়েছিল।

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

Comments

The Daily Star  | English
Tarique Rahman on election demands

Conspirators eyeing country’s resources like vultures: Tarique

Tarique said the conspiracy by mischievous elements, both within the country and abroad, against the BNP, its leaders, and the nation, does not stop

43m ago