'বিপিএলের আগে তামিম ফিরবে না, আমিও আর বেশিদিন নেই'

বিপিএলের আগে তামিম ফিরবে না
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছে কদিন ধরে। একটা বৈঠকের অপেক্ষা ছিল মূলত। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে তামিমের সেই বৈঠক অবশেষে হয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে পাপন বলেছেন, বিপিএলের পর তামিমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। সেই সঙ্গে সভাপতি পদে নিজের শেষের আভাসও দিয়েছেন তিনি।

সোমবার গুলশানে বোর্ড প্রধানের বাসায় হয় সভা। পরে গণমাধ্যমে ছোট্ট প্রতিক্রিয়া দেন পাপন, 'বিপিএলের পর তামিমের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে সে ফিরবে না। আমার মেয়াদও শেষের দিকে। দায়িত্ব ছাড়ার আগে বেশকিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চাই।' 

'এবারের মেয়াদ তো আর বেশিদিন নেই। আমিও আর বেশিদিন নেই। আমার পরিকল্পনা হচ্ছে, আর একটা বছর আছে। এই সময়ের মধ্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই দলটা ঠিক করে যাব।

চলতি বছর তামিমকে ঘিরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে হয় নানান নাটকীয়তা।  আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের মাঝপথে তামিম আকস্মিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেন৷ পরদিন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ফিরেও আসেন।

পীঠের চোট নিয়ে লন্ডনে চিকিৎসা করানোর পর বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দুই ম্যাচ খেলেন তামিম। এরপর শুরু হয় আরেক নাটক। তামিমের ফিটনেস আসে ফের আলোচনায়। তাকে ছাড়াই ঘোষণা করা হয় বিশ্বকাপ দল। সাকিব আল হাসান এক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক কথা বলেন। যাতে দুই তারকার মধ্যে তৈরি হয় আরও বৈরিতা।

এমন বাস্তবতায় বিশ্বকাপের পর তামিমের আবার খেলায় ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলো। এমনিতে টি-টোয়েন্টি থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন তামিম। গত কিছুদিন ধরে ফিটনেস নিয়ে কাজ না করায় তার টেস্ট খেলার অবস্থা ছিলো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট না খেলার কথা নির্বাচকদের আগেভাগেই জানান। ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরেও তাকে পাওয়া যাবে না সেই আভাসও কদিন আগেই পাওয়া যায়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলে আগামী মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফেরার সুযোগ তার। তবে সেটাও হবে কিনা তা জানা যাচ্ছে না। বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনার পর কি সিদ্ধান্ত এলো সেটা জানাতে তামিম নিজেও বিকেলে কথা বলবেন গণমাধ্যমে।   

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago