আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

‘আহমেদাবাদ জুজু’ কাটাতে পারবেন কোহলি?

আরেকটি ‘জুজু’ কাটাতে হবে ভারতের এই তারকাকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের ভেন্যু আহমেদাবাদে যে বড্ড মলিন তার ব্যাট!

‘আহমেদাবাদ জুজু’ কাটাতে পারবেন কোহলি?

‘আহমেদাবাদ জুজু’ কাটাতে পারবেন কোহলি?
ছবি: রয়টার্স

বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ব্যর্থতার বৃত্ত দারুণ কায়দায় ভেঙেছেন বিরাট কোহলি। সেরা উপায়ে বললেও ভুল হবে না। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি হাঁকান রেকর্ড ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। এবার আরেকটি 'জুজু' কাটাতে হবে ভারতের এই তারকাকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের ভেন্যু আহমেদাবাদে যে বড্ড মলিন তার ব্যাট!

এবারের আসরে ফর্মের তুঙ্গে আছেন ৩৫ বছর বয়সী কোহলি। ১০ ইনিংসে অতিমানবীয় ১০১.৫৭ গড়ে তিনি করেছেন ৭১১ রান। তার স্ট্রাইক রেট ৯০.৬৮। তিনটি সেঞ্চুরির সঙ্গে পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি আছে নামের পাশে। দেশের মাটিতে ২০২৩ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া তার একরকম নিশ্চিতই। কারণ, আগামীকাল রোববার ফাইনালে খেলবেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে কোহলির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও সতীর্থ রোহিত শর্মা পিছিয়ে আছেন ১৬১ রানে। ভারতীয় অধিনায়কের সংগ্রহ ৫৫০ রান।

রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে চলা কোহলি ইতোমধ্যে গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। যে কোনো বিচারেই সেগুলো আপন মহিমায় উদ্ভাসিত। বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি রান ও সর্বোচ্চ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসের কীর্তি নিজের করে নিয়েছেন কোহলি। স্বদেশি কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারের ৪৯টি সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০টি সেঞ্চুরির রেকর্ডও এখন তার।

শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চেও কোহলির ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে ভারতের ১৪০ কোটির বেশি জনগণ। কিন্তু শঙ্কার কথা হলো, নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে তার পারফরম্যান্স মোটেও আশা জাগানিয়া নয়।

আহমেদাবাদে এখন পর্যন্ত আটটি ওয়ানডে খেলেছেন কোহলি। তবে মাত্র ২৪ গড়ে এক হাফসেঞ্চুরিতে তিনি করেছেন ১৯২ রান। ওই হাফসেঞ্চুরিটিও এসেছিল ১৩ বছর আগে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। আহমেদাবাদের মাঠে সেটাই ছিল তার প্রথম ম্যাচ। এরপর সেখানে আরও সাতবার ব্যাট হাতে মাঠে নেমে হতাশাই কেবল সঙ্গী হয়েছে তার। ওই ইনিংসগুলো হলো যথাক্রমে ২৪, ২০, ৪৯, ৮, ১৮, ০ ও ১৬।

এক্ষেত্রে কোহলি অবশ্য নিজের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে পারেন। এবারের আগে বিশ্বকাপের নকআউটে একবারও হাসেনি তার ব্যাট। নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপে এসে সেই মলিনতার ছাপ মুছে ফেলেছেন তিনি।

২০১১ সালের আসরে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ ও ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৫ রানে আউট হয়েছিলেন কোহলি। এরপর ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ও সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১ রান করেছিলেন কোহলি। সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১ রানেই থেমেছিলেন তিনি। এই দফায় কিউইদের বিপক্ষে অবশেষে কোহলিকে দেখা যায় চেনা রূপে। মুম্বাইতে প্রথম সেমিতে তিনি খেলেন ১১৭ রানের ঝলমলে ইনিংস।

'নকআউট জুজু'র ইতি টেনেছেন কোহলি, 'আহমেদাবাদ জুজু'র অবসান ঘটাতে পারবেন তো? উত্তর জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পরই।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

2h ago