আগারকারদের ‘চাপে সরে গেছেন’ কোহলি!

virat kohli

বিরাট কোহলির টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না অনেক সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার। এই নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। সাবেক ব্যাটার মোহাম্মদ কাইফ  এই আলোচনায় যোগ দিয়ে বললেন, অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক  প্যানেলের চাপেই সরে যেতে হয়েছে ব্যাটিং জিনিয়াসকে।

আসন্ন ইংল্যান্ড সফর কেন্দ্র করে যখন দল তৈরির আলাপ চলছে, তখনই নিজের অবসর ঘোষণা দেন কোহলি। গত সোমবার ইন্সটাগ্রামে আবেগঘন পোস্টে ১৪ বছরের পথচলা থামিয়ে দেন তিনি।

কাইফের মনে হচ্ছে এখনি থামার কথা ছিলো না কোহলির। ইংল্যান্ড সফর নিয়েও তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন।  কাইফ আঁচ করছেন, নির্বাচকরা কোহলিকে এমন বার্তা দিয়েছিলেন যাতে তিনি সরে যাওয়ায় সম্মানের মনে করেছেন, 'আমার মনে হয় সে এই সংস্করণ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলো। বিসিসিআই'র সঙ্গে নিশ্চয়ই কোন অভ্যন্তরীণ আলাপ হয়েছে। গত ৫-৬ বছরের তার ছন্দের কথা তুলে নির্বাচকরা হয়ত বলেছিলো দলে তার জায়গা নাও হতে পারে।  আমরা জানতে পারব না আসলে কি হয়েছে। পর্দার আড়ালে কি হয়েছে বোঝা শক্ত।'

এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে কাইফ তুলে আনেন দীর্ঘদিন পর কোহলির রঞ্জিতে নামার এক যৌক্তিক প্রসঙ্গ। অস্ট্রেলিয়ায় গত জানুয়ারিতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের রঞ্জি খেলার নির্দেশ দেয়। ১৩ বছর পর দিল্লির হয়ে খেলতে নামেন এই তারকা।

কাইফ বলতে চাইছেন, টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার চিন্তা থাকলে তো আর রঞ্জি খেলতে নামতেন না কোহলি। এক্ষেত্রে বোর্ড ও নির্বাচকদের সমর্থন পাননি ডানহাতি ব্যাটার,  'রঞ্জি ট্রফি খেলার পর, আমি নিশ্চিতভাবে মনে করি সে আসন্ন টেস্টে ফিরতে চেয়েছিল। গত কয়েক সপ্তাহে যা ঘটেছে, তাতে সম্ভবত সে বিসিসিআই এবং নির্বাচকদের কাছ থেকে যে সমর্থন আশা করেছিল, তা পায়নি।'

গত অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন কোহলি। এরপর ভুগতে থাকেন রান খরায়। যা তার এই অবসরের পেছনেও রেখেছে প্রভাব। কাইফের পর্যবেক্ষণ কোহলি অস্থিরতায় ভুগে বেশ কিছু রান ফেলে এসেছেন,  'বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে তাকে রান করার জন্য তাড়াহুড়ো করতে দেখা গেছে। টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্রিজে টিকে থাকতে হয় এবং ঘাম ঝরাতে হয়, যা সে অতীতে করেছে, কিন্তু ড্রাইভ করার চেষ্টায় বারবার তার ব্যাট ছুঁয়ে বাইরের দিকে যাওয়া বল দেখে আমার মনে হয়েছে তার ধৈর্য কিছুটা কম ছিল।'

'হয়তো সে ভাবছিল "আমার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়, কষ্ট করে সেঞ্চুরি করে আর কী লাভ।" আগে তার মধ্যে অন্যরকম ধৈর্য দেখা যেত, সে বল ছেড়ে দিত, সময় নিত, বোলারদের ক্লান্ত করত এবং তারপর তাদের ওপর চড়াও হত, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় আমি তার মধ্যে সেটা দেখিনি।'

Comments

The Daily Star  | English

'Rab destroyed secret detention centres post August 5'

Finds Commission of Inquiry on Enforced Disappearances

58m ago