শীতের আবহে নির্মিত ১০ কে-ড্রামা

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
ছবি: সংগৃহীত

নভেম্বর মানেই হিম হিম বাতাস। এসময় হালকা শীত অনুভূত হয়। অনেকের কাছে এমন আবহাওয়া বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু, এটাও মানতে হবে এক কাপ গরম কফিতে চুমুক দিতে দিতে সোফায় বসে কিছু শো দেখার উপযুক্ত সময় এটি। আর আপনি যদি কে-ড্রামা ভক্ত হন, তাহলে নভেম্বরের ওয়াচলিস্টে শীতের আবহে নির্মিত কিছু জনপ্রিয় কে-ড্রামা রাখতে পারেন। এগুলোতে আছে প্রেম, রোমান্স, চমৎকার ফ্যাশন শৈলী, যা দর্শককে মুগ্ধ করবে।

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
গবলিন কে-ড্রামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

গবলিন

অনেকের প্রিয় কে-ড্রামা গবলিনে কিছু চমকপ্রদ দৃশ্য আছে। ফ্যান্টাসি রোমান্স ড্রামাটি কিম শিনকে ঘিরে আবর্তিত হয়। কিম অভিশাপের কারণে অমর হয়ে আছে। এদিকে জি ইউন-তাক নামের মেয়েটি আত্মা দেখতে পায়। নাটকে গবলিন তার নববধূকে খুঁজতে থাকে। কারণ সেই তাকে অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করতে পারবে। গবলিনের শরত ও শীতের দৃশ্যগুলো খুবই চমৎকার, দর্শককে দারুণ অনুভূতি দেবে। পুরো নাটকের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে কিম শিন ও জি ইউন-তাকের প্রেমের গল্প। কালজয়ী কে-ড্রামাটি ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু, বছরের পর বছর ধরে ভক্তদের মন জয় করে এসেছে। যারা কোরিয়ান কনটেন্টে নতুন তাদের জন্যও এটি ভালো শুরু হতে পারে।

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
লিজেন্ড অব দ্য ব্লু সি কে-ড্রামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

লিজেন্ড অব দ্য ব্লু সি

লিজেন্ড অফ দ্য ব্লু সিতে একটি তুষারাবৃত সৈকত আছে, যেখানের শব্দগুলোও বেশ আশ্চর্যজনক। লি মিন-হো ও জুন জি-হিউন অভিনীত নাটকটি কোরিয়ার ক্লাসিক জোসন কিংবদন্তির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। এখানে একজন মৎস্যজীবীর গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যে এক মৎস্যকন্যার প্রেমে পড়ে। তারপর সেই মৎস্যকন্যাকে অনুসরণ করতে থাকে। গল্পের প্লটটি অস্বাভাবিক হলেও এটি বেশ নাটকীয় আবহ তৈরি করে। নাটকের চূড়ান্ত দৃশ্যটি তুষারময় সৈকতে সেট করা হয়েছে, যা এই তালিকার সবচেয়ে সিনেমাটিক শীতকালীন দৃশ্য হতে পারে।

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
ওয়েটলিফটিং ফেয়ারি কিম বক জু কে-ড্রামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

ওয়েটলিফটিং ফেয়ারি কিম বক জু

নাটকটি একটি শক্তিশালী নারী প্রধান চরিত্র নিয়ে। গল্পটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী কিম বক জুকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। যে তার বন্ধুর বড় ভাইয়ের প্রেমে পড়ে। নাটকটিতে শীতকালের প্রচুর দৃশ্য সেট করা হয়েছে। কারণ চরিত্রগুলোকে স্টাইলিশ মাফলার ও সুন্দর সোয়েটার পরতে দেখা যাবে। এই নাটকের ভাইরাল দৃশ্যগুলো আজও সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়ায়, যা এর জনপ্রিয়তার বড় প্রমাণ।

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
হোয়াইল ইউ ওয়ার স্লিপিং কে-ড্রামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

হোয়াইল ইউ ওয়ার স্লিপিং

শীতের প্রেক্ষাপটে নির্মিত 'হোয়াইল ইউ ওয়ার স্লিপিং' একটি ফ্যান-ফেভারিট কে-ড্রামা। লি জং-সুক ও বায়ে সুজি অভিনীত ফ্যান্টাসি রোমান্স নাটকটি একজন প্রতিবেদক, প্রসিকিউটর ও পুলিশ অফিসারকে ঘিরে আবর্তিত হয়। যারা তাদের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা রাখে। এই নাটকটি সম্ভবত সবচেয়ে নাটকীয়, তবে শহরে তুষারপাতের দৃশ্যগুলো মুগ্ধ করবে অনায়াসে। তাই এটিকে নভেম্বরের কে-ড্রামা ওয়াচলিস্টে যুক্ত করতে পারেন।

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
রোমান্স ইজ এ বোনাস বুক কে-ড্রামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

রোমান্স ইজ এ বোনাস বুক

আপনি যদি হালকা শীতে একটি ভালো বই নিয়ে সোফায় বসে থাকতে পছন্দ করেন, তাহলে রোমান্স ইজ এ বোনাস বুক আপনার জন্য দারুণ একটি নাটক। লি জং সুক ও লি না-ইয়ং অভিনীত সিরিজটি ড্যান ইকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। ড্যান ই একজন সিঙ্গেল মাদার, যে বিবাহবিচ্ছেদের পর কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসে। অনিচ্ছাকৃতভাবে তার শৈশবের বন্ধুর মতো একই কোম্পানিতে যোগ দেয়। তারপর তাদের প্রেমের গল্পটি সঠিক পথেই এগিয়ে যাবে, যা দর্শককে রোমাঞ্চিত করবে। নাটকের দৃশ্যে শীতের সময় হাত ধরে শহরের চারপাশে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্যগুলো দর্শকের ভালো লাগবে।

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
আই উইল গো টু ইউ হোয়েন দ্য ওয়েদার ইজ নাইস কে-ড্রামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

আই উইল গো টু ইউ হোয়েন দ্য ওয়েদার ইজ নাইস

শীতের প্রেক্ষাপটে নির্মিত নাটকটিতে অভিনয় করেছেন পার্ক মিন ইয়ং। তার চরিত্রের নাম মোক হে ওন। একটি পারিবারিক ট্র্যাজেডির পর খালার সঙ্গে থাকতে সিউল থেকে গ্রামাঞ্চলে চলে যাবে মিন ইয়ং। সেখানে একজন পুরানো হাইস্কুল বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবে। সেই বন্ধু কেবল নির্ভরযোগ্য সঙ্গী নয়, একটি লাইব্রেরি ক্যাফের মালিক। তারপর দুজন আবার বন্ধু হয়ে যাবে এবং একে অপরের প্রেমে পড়তে শুরু করবে।

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
আনকন্ট্রোলাবেলে ফন্ড কে-ড্রামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহী

আনকন্ট্রোলাবেলে ফন্ড

কিম উ-বিন ও বে সুজির এই নাটকটি ভক্তদের মন জয় করেছে। শিন জুন-ইয়ং ও নোহ ইউল নামের দুই চরিত্রকে ঘিরে নাটকটির গল্প আবর্তিত হয়েছে। তারা দুজন শৈশবের বন্ধু এবং কিশোর বয়সে আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর আবার একত্রিত হবে। তাদের একজন অভিনেতা-গায়ক হয়ে ওঠে, আরেকজন ডকুমেন্টারি প্রযোজক হিসেবে কাজ করে। যখন তারা একসঙ্গে একটি ডকুমেন্টারিতে কাজ শুরু করে, তখন তাদের পুরনো প্রেম জেগে উঠবে। নাটকটির তুষার দৃশ্যটি আইকনিক।

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
পিনোকিও কে-ড্রামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

পিনোকিও

জনপ্রিয় কে-ড্রামা পিনোকিওতে ত্রিভুজ প্রেম থেকে শুরু করে প্রতিশোধসহ সেরা কে-ড্রামা ট্রপ আছে। নাটকের গল্প দুই উচ্চাকাঙ্ক্ষী সাংবাদিককে ঘিরে। এতে চয় ডাল-পো চরিত্রে লি জং সুক ও চয় ইন-হো চরিত্র পার্ক শিন-হাই অভিনয় করেছেন। এই দুজন ক্যারিয়ার নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামে। কিন্তু ইন-হোর অদ্ভুত পিনোকিও সিনড্রোম আছে, তাই সে মিথ্যা বলতে পারে না। অন্যদিক ডাল-পো তার মায়ের মৃত্যুর অসংবেদনশীল সংবাদের প্রতিশোধ নিতে বদ্ধ পরিকর।

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
রেডিও রোমান্স কে-ড্রামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

রেডিও রোমান্স

রেডিও রোমান্স দারুণ একটি কে-ড্রামা। এতে অভিনয় করেছেন ইউন ডুজুন ও কিম সো-হিউন। নাটকটি একজন বিষণ্ণ-উদ্বিগ্ন অভিনেতা এবং একজন রেডিও স্টেশনের লেখককে ঘিরে আবর্তিত হয়। এই নাটকের প্রধান দুটি চরিত্র হলো জি সো হো এবং সং জিউ রিম। তাদের মধ্যে যখন পুনরায় যোগাযোগ হয়, তখন রিমকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়- তিনিই প্রথম মেয়ে কিশোর বয়সে সো হো যার প্রেমে পড়েছিল। নাটকটির বেশিরভাগ দৃশ্য শীতকালে শুট করা হয়েছে। তাই হালকা শীতে নাটকটি দেখতে পারেন।

কে-ড্রামা, শীতের কে-ড্রামা, দক্ষিণ কোরিয়া,
এ কোরিয়ান ওডিসি কে-ড্রামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

এ কোরিয়ান ওডিসি

লি সিউং-গি, চা সেউং-ওন, ওহ ইয়োন-সিও এবং অন্যান্যরা অভিনীত এ কোরিয়ান ওডিসি চীনা উপন্যাস জার্নি টু দ্য ওয়েস্টের একটি আধুনিক রূপান্তর। এটি তালিকার এটি দ্বিতীয় নাটক, যেখানে এমন একটি চরিত্র আছে যে আত্মা দেখতে পারে। গল্পটির কোনো সুখী সমাপ্তি নেই, তবে এটি দর্শককে তিক্ত ও মিষ্টি অনুভূতি উপহার দেবে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago