কে-ড্রামা এত জনপ্রিয় কেন
কোরিয়ান নাটক (কে-ড্রামা) বিশ্বব্যাপী দর্শকখ্যাতি অর্জন করেছে। এশিয়ার বাইরেও এখন কে-ড্রামার জনপ্রিয়তা বেড়েছে এবং প্রতিনিয়ত বাড়ছে। মূলত, কে-ড্রামার রোমান্টিক এবং নাটকীয় প্লটগুলো খুবই চমৎকার। যা এর বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জনের অন্যতম একটি কারণ।
কে-ড্রামার রোমান্টিক কমেডি সিরিজগুলোতে সবসময় চমকপ্রদ কিছু থাকে। ফলে, দর্শক সহজেই পর্দা থেকে চোখ সরাতে পারেন না!
কিন্তু, কেন কে-ড্রামা এত জনপ্রিয়? আসুন এর কিছু কারণ জেনে নিই।
অভিনেতা-অভিনেত্রী
কোনো সন্দেহ নেই কোরিয়ানরা তাদের সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। কে-ড্রামা জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম একটি কারণ এটি। জনপ্রিয় কে-ড্রামা নির্মাতারা সবসময় আকর্ষণীয় অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন করেন। বলতে গেলে এটা তাদের একটি দক্ষতা। তবে, শুধু সৌন্দর্য দিয়ে কাজ হয় না, অভিনয়টাও গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই গুণটা কে-ড্রামা তারকাদের ভালোভাবেই আছে। তাই তারা চরিত্রগুলো দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলেন।
ফ্যাশনেবল
একটি কে-ড্রামায় প্রতিটি চরিত্রে ফ্যাশন ও শৈলীর অনন্য ছোঁয়া থাকে। যা বেশিরভাগ দর্শককে ফ্যাশন অনুপ্রেরণা যোগায়। কে-ড্রামাতে নতুন নতুন ফ্যাশনের সংমিশ্রণ থাকে। এ থেকে বোঝা যায় তাদের ফ্যাশন সেন্স অন্যদের চেয়ে যথেষ্ট ভালো। তারা সহজ আউটফিটকেও আশ্চর্যজনকভাবে চমকপ্রদ করে তোলে।
প্রতিটি প্লটে টুইস্ট
কে-ড্রামাগুলো আনন্দদায়ক ও বেশ মজার হলেও প্রতিটি কে-ড্রামায় একটি অপ্রত্যাশিত টুইস্ট থাকে, যা দর্শককে কিছুটা হলেও দূরে সরিয়ে দেয়। কিন্তু, যারা কিছুটা নাটকীয়তা ও রোম্যান্স পছন্দ করেন তাদের জন্য কে-ড্রামা বিনোদনের একটি পরিপূর্ণ মাধ্যম।
হাস্যরস
অবশ্যই কে-ড্রামাতে রোম্যান্স আছে। কিন্তু, এর মজাদার এবং কৌতুকপূর্ণ লাইন দর্শকদের হাস্যরসের খোরাক জোগায়। কোরিয়ান অভিনেতাদের ছোট ছোট কৌতুকও চমৎকারে ফুটিয়ে তোলার অসাধারণ দক্ষতা আছে। যা তাদের বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দিচ্ছে।
এক মৌসুমেই শেষ
কে-ড্রামা সাধারণত ৩০ মিনিটের জন্য হয় এবং একটি মৌসুমে প্রায় ১৬-২০টি এপিসোড থাকে। এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো বেশিরভাগ কে-ড্রামা মাত্র একটি সিজন চলে এবং সেখানে গল্পটি শেষ হয়। এজন্য দর্শক কে-ড্রামাতে বেশি আসক্ত হচ্ছেন, কারণ দর্শককে পরবর্তী মওসুমের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় না।
সিনেমাটোগ্রাফি
কে-ড্রামা পরিচালকরা খব ভালো করেই জানেন কীভাবে দর্শককে খুশি করতে হয়। করপোরেট বিল্ডিং থেকে শুরু করে প্রকৃতির সুন্দর সুন্দর জায়গাতে কে-ড্রামার দৃশ্যধারণ করা হয়। এটি দর্শকদের জন্য একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা সরবরাহ করে। আর কে-ড্রামার মাধ্যমে পরিচালকরা বিশ্বব্যাপী দর্শকের কাছে কোরিয়ান সংস্কৃতি ও কোরিয়ান বিভিন্ন স্থানকে তুলে ধরছেন।
খাবার
প্রায় প্রতিটি এপিসোডে ডিম, স্যুপ এবং ভাজা মুরগির মতো খাবার খাওয়ার দৃশ্য থাকে। এসব দেখে চপস্টিকগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সহজেই শিখতে পারছেন দর্শক। এটাও কে-ড্রামাকে জনপ্রিয় করার আরেকটি কারণ।
আবেগ
কে-ড্রামা নির্মাতাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকে দর্শকের আবেগকে প্রভাবিত করা। চরিত্রগুলি এমনভাবে সাজানো হয়, যেন দর্শক চরিত্রের সঙ্গে মিশে যান এবং একই আবেগ অনুভব করেন। প্রায় প্রতিটি পর্বের ক্লিফহ্যাঙ্গার সমাপ্তি দর্শককে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে বাধ্য করে।
Comments