দক্ষিণ কোরিয়ার কিশোররা দৈনিক গড়ে ১১ ঘণ্টা বসে কাটায়

দক্ষিণ কোরিয়ার কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বাড়ছে বসে থাকার প্রবণতা। ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বাড়ছে বসে থাকার প্রবণতা। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার মাধ্যমিক ও উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিনে গড়ে ১১ ঘণ্টা বসেই কাটায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় তা জানা গেছে।

আজ সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়া হেরাল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।

কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড সোশাল এফেয়ার্সের (কেআইএইচএস) সমীক্ষায় জানা গেছে, ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশু-কিশোররা প্রতিদিন গড়ে ১১ ঘণ্টা বসেই কাটায়। ছুটির দিনে এটা কমে নয় ঘণ্টা ২১ মিনিট হয়। ২০২৩ সালের তথ্যের ভিত্তিতে সমীক্ষাটি তৈরি করা হয়েছে।

২০১৭ সালে সংখ্যাটি ছুটির দিনে পৌনে নয় ঘণ্টা ও অন্যান্য দিনে ১০ ঘণ্টা ১৯ মিনিট ছিল। 

অর্থাৎ, দক্ষিণ কোরীয় কিশোরদের মধ্যে 'বসে থাকার' প্রবণতা বাড়ছে।

দেশটির ৫০ হাজারেরও বেশি মাধ্যমিক ও উচ্চবিদ্যালয়ের কিশোরদের মধ্যে পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে অংশ নেয় দক্ষিণ কোরিয়ার ১৭ বড় শহর ও প্রদেশের ৮০০ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই জরিপ পরিচালিত হয়।

ওই সময় পড়ালেখা বা ক্লাসে বসে থাকার সময় কিছুটা কমেছে। কিন্তু অন্যান্য কাজের জন্য বসে থাকার গড় সময় বেড়েছে।

২০২৩ সালে পড়ালেখায় বসে থাকার গড় সময় ছিল দিনে প্রায় আট ঘণ্টা। ছুটির দিনে তিন ঘণ্টা ৫০ মিনিট। ২০১৭ সালে পড়ালেখায় খরচ হতো সাত ঘণ্টা ৩৮ মিনিট। ছুটির দিনে তিন ঘণ্টা ৫৫ মিনিট।

২০২৩ সালে ব্যক্তিগত বিনোদনে খরচ হতো ছুটির দিনে পাঁচ ঘণ্টা ২২ মিনিট ও অন্যান্য দিনে তিন ঘণ্টা ২৭ মিনিট। ২০১৭ সালে তা ছিল যথাক্রমে চার ঘণ্টা ৩১ মিনিট ও দুই ঘণ্টা ৩৩ মিনিট।

কেআইএইচএস বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'স্পষ্টত কোরীয় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বসে থেকে ব্যক্তিগত বিনোদনে সময় কাটানোর প্রবণতা বাড়ছে।'

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ—কিশোর-কিশোরীদের দিনে অন্তত এক ঘণ্টা মধ্যম থেকে উচ্চ মাত্রার শরীরচর্চা করা উচিত। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে শরীরচর্চার অভ্যাস খুবই সীমিত।

জরিপে অংশ নেওয়া কিশোরদের মধ্যে মাত্র ১৭ দশমিক এক শতাংশ দিনে অন্তত এক ঘণ্টা উচ্চ মাত্রার শরীরচর্চায় অংশ নেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সপ্তাহে পাঁচ বা এর বেশিদিন ওই ১৭ দশমিক এক শতাংশ কিশোর-কিশোরী ব্যায়াম করে থাকে।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

3h ago