আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

রাহুলের রেকর্ড ও আইয়ারের 'প্রথম' সেঞ্চুরিতে ৪০০ ছাড়াল ভারত

মাত্র ৬২ বলে সেঞ্চুরির স্বাদ পান রাহুল। বিশ্বকাপে ভারতের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা নিজের করে নেন তিনি। শেষমেশ তিনি থামেন ৬৪ বলে ১০২ রানে। ৯৪ বলে ১২৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে শ্রেয়াস আইয়ার পান বিশ্বকাপে তার প্রথম সেঞ্চুরি।

রাহুলের রেকর্ড ও আইয়ারের 'প্রথম' সেঞ্চুরিতে ৪০০ ছাড়াল ভারত

ভারত বনাম নেদারল্যান্ডস
ছবি: রয়টার্স

দীপাবলি উৎসবের দিনে ক্রিকেট মাঠেও রঙিন থাকলেন ভারতের ব্যাটাররা। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের সবাই মেতে উঠলেন রান উৎসবে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা, শুবমান গিল ও বিরাট কোহলির তিনজনই করলেন হাফসেঞ্চুরি। তাদেরকে ছাপিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেন লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ার। তাদের দুইশ ছাড়ানো জুটিতে চড়ে ভারত গড়ল ৪ উইকেটে ৪১০ রানের বিশাল পুঁজি। এটি বিশ্বকাপের মঞ্চে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

মাত্র ৬২ বলে সেঞ্চুরির স্বাদ পান রাহুল। বিশ্বকাপে ভারতের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা নিজের করে নেন তিনি। শেষমেশ তিনি থামেন ৬৪ বলে ১০২ রানে। ৯৪ বলে ১২৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে শ্রেয়াস আইয়ার পান বিশ্বকাপে তার প্রথম সেঞ্চুরি।

বেঙ্গালুরুতে রোববার টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া ভারতের ইনিংসে কী হতে যাচ্ছে, সকলেরই ধারণা ছিল। কিন্তু প্রথম বল থেকেই যেভাবে তাণ্ডব শুরু হয়, থামানো মুশকিল হয়ে পড়ে নেদারল্যান্ডসের জন্য। রোহিত প্রথম ওভারেই দুটি চার মেরে চড়াও হন আরিয়ান দত্তের ওপর। দত্তের অফ স্পিনে নিয়মিত বড় শট খেলে যান রোহিত। উড়ন্ত রোহিতের পিছু পিছু শুবমান পরে শুরু করেন ঝড়। ছয় ওভারেই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় ভারত। রোহিত-শুবমানের ব্যাটে মনে হচ্ছিল, খেলাটা বুঝি টি-টোয়েন্টি! নয় ওভারের মধ্যেই পাঁচজন বোলারকে ব্যবহার করে ফেলেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কেউই ঝড় থামাতে পারেননি। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ভারত আনে ৯১ রান।

কেবল ৩০ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে ফেলেন শুবমান। কিন্তু এর পরপরই আউট হয়ে যান বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে। পল ফন মিকেরেনের বাউন্সারে ফাইন লেগে তেজা নিদামানুরুর তালুবন্দি হন শুবমান। ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৩২ বলে ৫১ রানে থামেন তিনি। ভাঙে ঠিক ১০০ রানের উদ্বোধনী জুটি। রোহিত ৪৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করে আউট হয়ে যান ইনিংস বড় করতে না পেরে। ৬১ রানে বাস ডি লিডির বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারিতে। ৫৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কা মেরে আউট হন রোহিত।

এবারের বিশ্বকাপে রান মেশিন বনে যাওয়া কোহলি শুরতে চলেন ধীরগতিতে। ২৫ বলে ১৪ রানে থাকা কোহলি পরে গিয়ার পাল্টান। মাঝখানে একটু বিরতি নিয়ে আবার শুরু হয় ভারতের ঝড়। তবে ৫৩ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে ৫১ রানে ফিরে যান কোহলিও। ৫ চার ও ১ ছয়ে সাজানো ইনিংস খেলে বোল্ড হয়ে যান রোলফ ফন ডার মারওয়ের বলে। 

১২তম ওভারেই একশ পেরিয়ে যাওয়া ভারত ২৯তম ওভারে দুইশ ছাড়িয়ে যায়। শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলে আসা শ্রেয়াস রানের গতি ধরে রাখেন। আগ্রাসনের সাথে সতর্কতা মিশিয়ে ফিফটি পেয়ে যান ৪৮ বলে। রাহুলও ক্রিজে এসেও সমানতালে খেলে যান কব্জির ঝলকের সাথে চতুরতায়। তিনি ফিফটির দেখা পান ৪০ বলে। ৪২তম ওভারে ভারত তিনশ পেরিয়ে যাওয়ার সাথে শ্রেয়াস-রাহুলের জুটিও শতরানের হয়ে যায়।

৮৪ বলে শ্রেয়াস সেঞ্চুরি পাওয়ার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাহুলের ব্যাট। শেষ ওভার শুরুর আগে সেঞ্চুরি থেকে ছিলেন ১১ রান দূরে। টানা দুই ছক্কায় দুর্দান্তভাবে শতক হাঁকিয়ে ফেলেন। আউট হওয়ার আগে মারেন ১১ চার ও ৪ ছক্কা। আলোড়ন তোলা ইনিংসে ১০টি চারের সঙ্গে ৫টি ছয় আসে অপরাজিত থাকা শ্রেয়াসের ব্যাট থেকে। ডাচ বোলারদের চরম দুর্দশার দিনে লোগান ফন বিক ১০ ওভারেই দিয়ে ফেলেন ১০৭ রান। পাননি কোনো উইকেটও।

Comments

The Daily Star  | English

Barishal University VC, pro-VC, treasurer removed

RU Prof Mohammad Toufiq Alam appointed interim VC

1h ago