অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলে শ্রেয়াস বলছেন, ‘এমন বড় উপলক্ষগুলোই ভালোবাসি’

Shreyas Iyer

ট্রেন্ট বোল্টের ইয়র্কার বলটা যখন তিনি থার্ড ম্যাচ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন তখন বোল্টের চোখেও অবিশ্বাস, তবে এটাকেও ছাড়িয়ে গেলেন খানিক পর। বিশ্বের সেরা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহর ভয়ঙ্কর ইয়র্কারের ঠিকানাও করলেন একই। শ্রেয়াস আইয়ার যা খেললেন তাতে চোখ ধাঁধিয়ে গেল সবার। তার আলোড়ন তোলা ইনিংসে ভর করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দুইশো ছাড়ানো রান তাড়া করে ফাইনালে পৌঁছে গেল পাঞ্জাব কিংস।

রোববার আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে নামেভারে, অভিজ্ঞতায় এগিয়ে বলে মুম্বাইর পক্ষেই বাজির দর ছিলো বেশি। মাঝারি কয়েকটি ইনিংসে দলটি করে ২০৩ রান।

রান তাড়ায় শুরুতে ধাক্কা খেলেও শ্রেয়াস ছিলেন অনন্য। ৪১ বলে খেললেন অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস। নেহাল ওয়াধেরার (২৯ বলে ৪৮) সঙ্গে গড়লেন ম্যাচ জেতানো জুটি।

ইয়র্কার বলে চার পাঠিয়ে দেওয়ার দৃশ্যগুলোর কথা বলা হলো আগে, চাইলে শ্রেয়াসের আরও অনেক শট নিয়েই কথা বলা যায়। রিস টপলিকে যেভাবে লং অন দিয়ে উড়িয়ে একের পর ছক্কা মারছিলেন অনায়াসে, কিংবা যেভাবে ছক্কায় শেষ করেলন রাজকীয় দ্যুতিই যেন বেরুলো। নকআউট পর্বের ম্যাচে ৫ চার ৮ ছক্কার ইনিংসটা যেকোনো বিচারে বাঁধিয়ে রাখার মতন।

অধিনায়কের এমন ঠান্ডা মাথায় খুনে ইনিংসে ভর করেই ১১ বছর পর আইপিএল ফাইনালে উঠে গেল পাঞ্জাব। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন শ্রেয়াস।

পুরো ইনিংস জুড়ে শ্রেয়াস ছিলেন স্থিরতার প্রতিচ্ছবি, খেলার রাশ সব সময় মনে হয়েছে তার মুঠোয়। জানালেন বড় মঞ্চ বলেই এমন জ্বলে উঠার বারুদ পান তিনি,  '(ব্যাটিং করার সময় শান্ত থাকা প্রসঙ্গে) সত্যি বলতে কী, আমি জানি না। আমি এমন বড় উপলক্ষগুলো খুব ভালোবাসি। আমি সবসময় নিজেকে এবং দলের সহকর্মীদেরও বলি যে উপলক্ষ যত বড় হয়, আপনি তত শান্ত থাকলে বড় ফলাফল পাবেন। আজ এর একটা সঠিক উদাহরণ ছিল, যেখানে আমি মাঠে অতিরিক্ত ঘাম ঝরানোর চেয়ে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছিলাম।'

দুইশোর  কিছু বেশি লক্ষ্য পেয়ে বিশ্বাসী হয়ে উঠে পাঞ্জাব। বিশেষ করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান যেমন শুরু পেয়েছিল তার পুরোটা কাজে না লাগায় মোমেন্টাম নিজেদের দিকে চলে আসে বলে মানেন শ্রেয়াস, 'খেলার ঠিক আগে যেমনটা বলেছিলাম যে সব খেলোয়াড়কে দৃঢ় হতে হবে এবং প্রথম বল থেকেই সেই উদ্দেশ্য দেখাতে হবে। তারা যে শুরুটা পেয়েছিল, সেটাকে পুঁজি করতে পারেনি, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ছিল অসাধারণ এবং আমার ক্ষেত্রেও, আমাকে কিছুটা সময় নিতে হয়েছিল। অন্য প্রান্ত থেকে ব্যাটসম্যানরা বেশ ভালো স্ট্রোক খেলছিল। আমি জানি, মাঠে আমি যত বেশি সময় কাটাব, তত ভালো খেলব এবং আমার দৃষ্টিও তত পরিষ্কার হবে।'

প্রথম কোয়ালিফায়ারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে পাত্তা পায়নি পাঞ্জাব। দ্বিতীয় সুযোগে নিশ্চিত করল ফাইনাল। তবে ওই এক ম্যাচের খারাপ খেলা দিয়ে দল বিচার করতে চান না শ্রেয়াস,  'পুরো মৌসুম জুড়েই আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। প্রথম খেলা থেকেই আমাদের উদ্দেশ্য এবং ইতিবাচকতা অপরিহার্য ছিল। একটা ম্যাচ আমাদের দল হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

3h ago