ঢাবির ৯ ফটকে ছাত্রদলের তালা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, 'ছাত্রদলের তালা ঝোলানোর খবর সত্য নয়৷’
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ইনস্টিটিউটসহ অন্তত নয়টি ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ছাত্রদল।

সারা দেশে চলমান অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রোববার সকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তালা ঝুলিয়ে দেন।

এর মধ্যে রয়েছে—বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, কার্জন হল, পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জিমনেশিয়াম, বিজ্ঞীন গ্রন্থাগার, কেন্দ্রীয় মসজিদের গেট এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, 'অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত নয়টি গেটে তালা দিয়েছি। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারের বিরুদ্ধে সব ধরনের নিপীড়ন প্রতিহত করতে প্রস্তুত। আমরা শিগগির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করব।'

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা আনিসুর রহমান খন্দকার বলেন, 'আমি খুব ভোরে কার্জন হল এলাকার কয়েকটি গেটে তালা দিয়েছি। আমি যখন গেটে তালা ঝোলাচ্ছিলাম, তখন কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা আমাকে ধাওয়া করে।'

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রদল নেতাদের প্রতিহত করতে ক্যাম্পাসে সজাগ আছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের একদল নেতাকে ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দিতে দেখা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, 'ছাত্রদলের তালা ঝোলানোর খবর সত্য নয়৷ এ খবর তারা ফেসবুকে ছড়াচ্ছে৷ বাস্তবে এটির কোনো সত্যতা নেই৷'

ছাত্রদলকে তিনি মাঠে থাকার আহ্বান জানান৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম মাকসুদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তাদের (ছাত্রদল) দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি প্রবেশপথ তালাবদ্ধ করেছে—এটি সত্য নয়। আমরা দেখেছি একটি গেটের সঙ্গে শুধু একটি ব্যানার লাগানো হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ক্লাস, পরীক্ষাসহ অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসে উপস্থিত আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Personal data up for sale online!

A section of government officials are selling citizens’ NID card and phone call details through hundreds of Facebook, Telegram, and WhatsApp groups, the National Telecommunication Monitoring Center has found.

56m ago