সাম্য হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে ছাত্রদলের শাহবাগ মোড় অবরোধ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আজ রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রদল নেতাকর্মীরা শাহবাগ মোড় গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন।
সাম্য হত্যার ঘটনায় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে দায়ী করে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
বিক্ষোভে ঢাবি ছাত্রদল ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ এবং ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের কর্মীরা অংশ নেন।

ছাত্রদল সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনসহ শীর্ষ নেতারা সেখানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।
বিক্ষোভের কারণে শাহবাগ ও আশেপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধের দেড় ঘণ্টা পর সোয়া ৫টার দিকে তারা শাহবাগের সড়ক ছেড়ে দেন।
এর আগে, ঢাবি ছাত্রদল উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার দাবিতে কালো পতাকা মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
দুপুর ১টার দিকে তারা টিএসসি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি হলপাড়া, মল চত্বর হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
অপরদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন 'সাদা' দলের ব্যানারে শিক্ষকরা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে একটি সমাবেশ করে।
তারা সাম্যর হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে শিক্ষকরা আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, 'সাম্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পাঁচ দিন হয়ে গেলেও প্রকৃত অপরাধীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং আমাদের বিভ্রান্ত করতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে লোকদেখানো কায়দায়।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বুধবার থেকে বিক্ষোভ করছে। শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বিভিন্ন অনুষদের গেট, রেজিস্ট্রার ভবন এবং লাইব্রেরিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
নিহতের ভাই শরিফুল আলম শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার ঘটনায় ঢাবি প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনজনই বহিরাগত এবং তাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
Comments