ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যা চলছে, তা সহ্যের বাইরে: ওবামা

৩ নভেম্বর ওবামা ফাউন্ডেশনে ডেমোক্রেসি ফোরামে বক্তব্য রাখছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ছবি: এএফপি
৩ নভেম্বর ওবামা ফাউন্ডেশনে ডেমোক্রেসি ফোরামে বক্তব্য রাখছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ছবি: এএফপি

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই যুদ্ধকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়টির সমালোচনা করে ওবামা বলেন, 'দুই পক্ষের কেউই নিরপরাধ নয়।'

আজ রোববার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি জানানো হয়।

শনিবার এক সাক্ষাৎকারে ওবামা জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা 'ভয়াবহ', তবে এখন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যা করা হচ্ছে, তা 'সহ্যের বাইরে'। 

পড সেভ আমেরিকা পডকাস্টের জন্য দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, 'কোনো গঠনমূলক উদ্যোগ নিতে হলে আমাদেরকে প্রথমে মেনে নিতে হবে যে এখানে একটি জটিল পরিস্থিতি চলছে এবং বাইরে থেকে দেখে যা মনে হয়, বিষয়টি ততটা সরল নয়। হামাস যা করেছে, তা ভয়ানক এবং এর পেছনে কোন যুক্তি নেই। কিন্তু একইসঙ্গে এটাও সত্য যে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এখন যা চলছে এবং আগে তাদের ভূখণ্ড যেভাবে অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তা সহ্যের বাইরে।'

'তবে এটাও সত্য, গাজায় অনেক ফিলিস্তিনি মারা যাচ্ছেন, যাদের সঙ্গে হামাসের কার্যক্রমের কোনো যোগসূত্র নেই', যোগ করেন ওবামা।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ওবামা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান দেওয়ার উচ্চাভিলাষী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে থাকলেও তিনি এতে সক্ষম হননি।

ওবামা 'টিকটক ভিত্তিক আন্দোলনের' সমালোচনা করে বলেন, এর মাধ্যমে চলমান পরিস্থিতির সরলীকরণ করা হচ্ছে।

সাবেক মার্কিন নেতা বলেন, 'আপনি সত্য বলার অভিনয় করতে পারেন, আপনি একপাক্ষিক সত্য বলতে পারেন, আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেকে নির্দোষও দাবি করতে পারেন। তবে এতে সমস্যার সমাধান হবে না।'

'আর আপনি যদি এই সমস্যার সমাধান করতে চান, তাহলে আপনাকে পুরো সত্যটাই গ্রহণ করতে হবে এবং মেনে নিতে হবে, কেউই নিরপরাধ নয় এবং আমরা সবাই (নীরব থেকে) খানিকটা হলেও এই সংঘাতে অংশীদারের ভূমিকা পালন করেছি', যোগ করেন ওবামা।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

1h ago