‘শ্রমিক আন্দোলন পুঁজি করে নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে র‌্যাব’

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গার্মেন্টস শিল্পকে নিয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করছে তাদের অনেককে আমরা আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি।
র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কার্যালয়ে বক্তব্য রাখেন (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ছবি: স্টার

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, শ্রমিক আন্দোলন পুঁজি করে কোনো ধরনের নাশকতা-সহিংসতা করে পোশাক শিল্প নষ্ট করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে র‌্যাব।

তিনি বলেছেন, একইভাবে যারা এই গার্মেন্টস শিল্পকে নিয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করছে তাদের অনেককে আমরা আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি। তাদের বেশ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা এই শিল্প নিয়ে অরাজকতার চেষ্টা করবে, পেছন থেকে হোক বা মাঠ থেকে হোক তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যেখানে যেখানে গার্মেন্টস বেশি রয়েছে সেই স্থানগুলোতে আমাদের র‌্যাবের টহল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এবং বিজিবির সাথে আমরা যৌথ পেট্রল করছি৷ যেকোনো ধরনের নাশকতা এবং সহিংসতা রোধে আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে৷

আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কার্যালয়ে পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা রোধে পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন, র‌্যাবের কার্যক্রম পর্যালচনা ও মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।

মিডিয়া উইংয়ের এই পরিচালক বলেন, গত ৩১ অক্টোবর জোসনা নামে এক পোশাক শ্রমিককে মিরপুর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এমন ছড়িয়েছিল। যার ফলে এক নভেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিরপুরে অনেক সহিংসতা ও নাশকতা হয়। পরে ‌র‌্যাবের একটি দল ১ নভেম্বর জোসনাকে খুঁজে বের করে।

খন্দকার আল মঈন, যারা নাশকতা, সহিংসতার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতিকারীরা চোরাগুপ্ত হামলা থেকে সহিংসতা করছে। তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স), অপারেশন্স উইং এর পরিচালক ও র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

7h ago