আজ সন্ধ্যায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য দেবেন হিজবুল্লাহ প্রধান

বৈরুতের এক জনসভায় বক্তব্য রাখছেন হাসান নাসরাল্লাহ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
বৈরুতের এক জনসভায় বক্তব্য রাখছেন হাসান নাসরাল্লাহ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে বক্তব্য দেবেন।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর থেকে টানা প্রায় চার সপ্তাহ ধরে গাজায় নির্বিচার বোমাহামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীর সঙ্গেও ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে সংঘাত চলছে।

এখন পর্যন্ত এই সংঘাত নিয়ে হিজবুল্লাহর নেতা কোনো বক্তব্য দেননি। আজই প্রথমবারের মতো নীরবতা ভাঙতে যাচ্ছেন তিনি।

লেবাননের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) তার এই বক্তব্য প্রচার করা হবে। তিনি লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে হিজবুল্লাহর সুরক্ষিত স্থাপনা থেকে ইসরায়েলি বোমাহামলায় নিহত যোদ্ধারে স্মরণে বক্তব্য দেবেন।

লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। হামাসের মিত্র হিসেবে পরিচিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের বেশ কয়েক দফা হামলা-পালটা হামলার ঘটনার কথা জানা গেছে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ হাজার ২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২২ হাজারের বেশি মানুষ।

এরমধ্যেই গাজা শহরের আল কুদস হাসপাতালের আশেপাশে বিমান হামলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, বোমাবর্ষণ ও জ্বালানি সংকটের কারণে গাজার প্রায় অর্ধেক হাসপাতালে সেবাদান সম্ভব হচ্ছে না।

গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফায় যেকোনো সময় সেবাদান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এদিকে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৪২ জনকে অপহরণ করে জিম্মি করেছে বলে বৃহস্পতিবার সামরিক মুখপাত্র হাগারি দাবি করেছেন।

হামাস জিম্মির সংখ্যা শতাধিক বললেও, ইসরায়েল এর আগে জিম্মির সংখ্যা ২০২ জন দাবি করেছিল। ইতোমধ্যে কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh garment exports face US tariff hike

Can Bangladesh retain its foothold in US market?

As Bangladesh races against a July 9 deadline to secure a lower tariff regime with the United States, the stakes could not be higher.

15h ago