বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ৫ গাড়ি

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গাড়ি পিল পি৫০ দিয়ে ২১ দিনে ৮৭৪ পথ পাড়ি দেন অ্যালেক্স অরচিন। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গাড়ি পিল পি৫০ দিয়ে ২১ দিনে ৮৭৪ পথ পাড়ি দেন অ্যালেক্স অরচিন। ছবি: সংগৃহীত

শুধু এসইউভি-জিপের মতো বড় বড় গাড়ি নয়, অনেক মানুষ ছোট গাড়ি কেনার ব্যাপারেও আগ্রহী। আবার অনেকে বাস্তবসম্মত কারণেও ছোট গাড়ির প্রতি ঝোঁক দেখান। এ কারণে, যুগে যুগে বেশ কিছু ছোট আকারের গাড়ি বাজারে এসেছে।

এই লেখায় জানা যাবে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ৫টি গাড়ি নিয়ে।

পিল পি৫০

পিল পি৫০। ছবি: সংগৃহীত
পিল পি৫০। ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গাড়ির তকমা পেয়েছে এটি। যুক্তরাজ্যের পিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এই গাড়িটি নির্মাণ করে। এর নকশা করেছেন সিরিল ক্যানেল।

শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই গাড়িটি একটি ফোনবুথ অথবা ভেসপা স্কুটারের চেয়েও আকারে ছোট। সারা পৃথিবীতে এই ছোট আকারের গাড়ির সংখ্যা মাত্র ৩০।

১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এই গাড়িটি উৎপাদন করা হয়।

এক দরজার এই গাড়িতে অবশ্যম্ভাবীভাবে শুধু একজনই বসতে পারবেন এবং তাকেই হতে হবে এর চালক।

বাজারের গাড়ির দোকানে খুঁজে না পেলেও আপনি অর্ডার দিলে নির্মাতা আপনার জন্য এটি বানিয়ে দেবেন। তবে এতে খরচ পড়বে ১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি।

ক্যাঙ্গারু

ক্যাংগারু। ছবি: সংগৃহীত
ক্যাংগারু। ছবি: সংগৃহীত

এই গাড়িটি শুধু এর আকার-আকৃতির জন্যই নয় বরং আরো একটি কারণেও সুপরিচিত। ক্যাঙ্গারু নামের এই ইলেকট্রিক গাড়ি মূলত হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য। তারা যাতে কারো সাহায্য না নিয়ে নিজেই যাতায়াত করতে পারে, সে জন্য আলাদাভাবে এর ডিজাইন করা হয়েছে।

বর্তমান বাজারে এর মূল্য দাঁড়াবে ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। এর আকারের জন্য কেউ কেউ একে অবশ্য গাড়ির তকমা না দিয়ে স্কুটার আখ্যা দিতে চান।

হুইলচেয়ার ব্যবহারে বাধ্য মানুষদের জন্য এটি আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। শুধু একটি বোতাম টিপেই তারা এই গাড়ি চালাতে পারেন। ক্যাঙ্গারু যেভাবে নিরাপদে তার শাবকদের নিয়ে চলাফেরা করে, এই গাড়ির যাত্রীও সেরকম নিরাপত্তা পান।

সাধ্যের মধ্যে থাকা বাজেট, পার্কিং এর সুবিধা, সাশ্রয়ী সার্ভিসিং ইত্যাদি বিভিন্ন কারণেই মানুষ ছোট গাড়ি কেনার দিকে ঝোঁকেন। সেইসাথে নিজের মতো করে কাস্টোমাইজ করে নিয়ে ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই 'কমপ্যাক্ট কার' ব্যবহারের বিষয়টি তো আছেই।

ট্যাংগো টি৬০০

ট্যাংগো টি৬০০। ছবি: সংগৃহীত
ট্যাংগো টি৬০০। ছবি: সংগৃহীত

৩৯ ইঞ্চি প্রশস্ত ও ৬১ ইঞ্চি উচ্চতাবিশিষ্ট এই গাড়ির বহনক্ষমতা এর আকারের তুলনায় একটু বেশি। এতে মোট ৩টি দরজা এবং ২টি সিট রয়েছে। সিটগুলো বাইসাইকেলের মতো একটি আরেকটির পেছনে, যাতে জায়গাও বাঁচে আবার একজন যাত্রীও বসতে পারেন।

গাড়িটির অন্যতম আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ট্রাফিক জ্যামের জন্য বিশেষভাবে মানানসই। দক্ষ চালকের বাইকের মতো এই গাড়িও অলিগলি দিয়ে অথবার রাস্তার একপাশ দিয়ে চলে যেতে পারে সহজেই।

২০০৫ সাল থেকে এখনো এই গাড়ির উৎপাদন চলছে। আকারে বাইকের সঙ্গে অনেকটা মিল থাকলেও এতে আছে স্পোর্টস-কার ফিচার এবং প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

গতির ক্ষেত্রেও আপোষ করেনি ট্যাংগো। মাত্র ৪ সেকেন্ডেই এর গতিবেগ শূন্য থেকে ঘণ্টায় ৬০ মাইলে নিয়ে যাওয়া যায়।

সুজুকি টুইন

সুজুকি টুইন। ছবি: সংগৃহীত
সুজুকি টুইন। ছবি: সংগৃহীত

এই গাড়ির দেখা মিলবে জাপানে। মূলত জাপানের তরুণীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল ৫৮ ইঞ্চি প্রশস্ত সুজুকি টুইন।

'টুইন' নামের সার্থকতা হচ্ছে এই যে, এতে মোট ২টি দরজা ও ২টি আসন রয়েছে। এর উৎপাদন ২০০৫ সাল পর্যন্ত হলেও এখনো হটাত হটাত পুরনো গাড়ির বাজারে এর দেখা মেলে।

সায়ন আইকিউ

সায়ন আইকিউ। ছবি: সংগৃহীত
সায়ন আইকিউ। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালে অটোমোবাইল জগতে টয়োটার কল্যাণে আবির্ভাব ঘটে সায়ন আইকিউ নামের ছোট্ট এক গাড়ির। তবে বাইরে থেকে অনেক ছোট মনে হলেও এর ভেতরে বেশ ভালোই জায়গা রয়েছে। ৪ আসনের এই গাড়িতে পেছনের আসনগুলো ভাঁজ করে নিয়ে এর 'কার্গো এরিয়া' বাড়িয়ে নেয়াও যায়।

গাড়িটির ডিজাইনে অত্যন্ত ভালো মানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। দামটাও অন্যান্য গাড়ির চেয়ে বেশ কম। ১৬ হাজার মার্কিন ডলার বা এর চেয়ে কিছু কমেও সায়ন আইকিউর মালিক হওয়া যাবে। এই গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলে কন্ট্রোল বেশ দক্ষ। এছাড়াও এতে আছে ১০টি এয়ারব্যাগ, একটি স্ট্যান্ডার্ড ৬-স্পিকার অডিও সিস্টেম। নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে গিয়ে এতে রাখা হয়েছে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, অ্যান্টি-লক ব্রেক এবং ইলেকট্রনিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোলের মতো বিভিন্ন সুবিধা।

তথ্যসূত্র: কার ডট ইনফো, ফানলিস্টহাব, টয়োটা

 

Comments

The Daily Star  | English

NCP unveils 24-point ‘New Bangladesh’ manifesto, calls for Second Republic and new constitution

Key pledges include recognising the July uprising and ensuring justice for those affected

21m ago