গাজায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে বাইডেনের ‘সন্দেহ’

‘আমি মনে করি না যে ফিলিস্তিনিরা নিহতের সংখ্যা নিয়ে সত্য বলছে। আমি নিশ্চিত যে নিরীহ মানুষ মারা গেছেন। তবে তা হচ্ছে যুদ্ধ উসকে দেওয়ার ফল।’
গাজায় নিহত ফিলিস্তিনি
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে এক গোরস্তানে ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের সমাহিত করা হচ্ছে। ১৭ অক্টোবর, ২০২৩। ছবি: রয়টার্স

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে 'সন্দেহ' প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন যে 'ফিলিস্তিনিরা নিহতের যে সংখ্যা বলছে তাতে তার আস্থা নেই।'

গাজায় বেসামরিক মানুষদের হতাহত কমানোর জন্য ইসরায়েল যথেষ্ট চেষ্টা করছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন এই মন্তব্য করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, 'আমি মনে করি না যে ফিলিস্তিনিরা নিহতের সংখ্যা নিয়ে সত্য বলছে। আমি নিশ্চিত যে নিরীহ মানুষ মারা গেছেন। তবে তা হচ্ছে যুদ্ধ উসকে দেওয়ার ফল।'

তার ভাষ্য, 'ইসরায়েলকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন তাদের ওপরই দৃষ্টি রাখে যারা এই যুদ্ধ শুরু করেছে। তবে ফিলিস্তিনিরা মৃতের যে সংখ্যা বলছে তাতে আমার বিশ্বাস নেই।'

গাজায় নিহত ফিলিস্তিনি
গাজার আল আকসা হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় নিহত শিশুর মরদেহ জড়িয়ে বাবার বিলাপ। ১৫ অক্টোবর, ২০২৩। ছবি: রয়টার্স

গাজায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই হাজার ৭০০ শিশু।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর)।

সংগঠনটির বার্তায় বলা হয়, 'সাংবাদিকরা হতাহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করছেন। প্রতিদিন নারী ও শিশুদের মরদেহের অগণিত ভিডিও প্রকাশিত হচ্ছে। শহরে একটি বিশাল অংশ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

'প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উচিত এসব ভিডিও দুই-একটি দেখা। নিজেকে প্রশ্ন করা—বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুর মরদেহ বের করে আনার দৃশ্য বানানো ও তা যুদ্ধ উসকে দেওয়ার ফল কিনা।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

12h ago